ফ্রানৎস কাফকার একটা লেখা আছে-
‘একজন গর্দভ কেবলই একজন গর্দভ। দুইজন গর্দভ মিলে হয় একাধিক গর্দভ। এবং দশ হাজার গর্দভ মিলে হয় একটি রাজনৈতিক দল।’
করোনার বৈশ্বিক মহামারীরকালে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথা শুনলে কাফকার লেখাটা মনে পড়ে যায় বারবার, কেন মনে পড়ে তার কিছুটা নজির তুলে ধরবার চেষ্টা করছি-
“করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনে চীনের মত হাসপাতাল বানানো হবে।”
– মুস্তফা কামাল।
“শেখ হাসিনা আল্লাহওয়ালা মানুষ, করোনা কিছুই করবে না।”
– শামিম ওসমান।
“করোনা ভয়ংকর শক্তিশালী, আমরা তার চেয়েও শক্তিশালী!”
– ওবায়দুল কাদের।
“শেখ হাসিনার মত নেত্রী পাওয়ায় করোনা প্রতিরোধ করতে পারছি।”
– মোহাম্মদ নাছিম।
“করোনা নিয়ে বিএনপি জামায়াত জনগনকে আতঙ্কিত করছে।”
-হাছান মাহমুদ
“করোনা মারাত্মক রোগ নয়,এটা সর্দি-জ্বরের মত।”
– আব্দুল মোমেন।
“আল্লাহ নিজে আসলেও কিছু করতে পারবেন না।”
– জাহিদ ফারুক।
“করোনা প্রতিরোধে ঢাকা বিমানবন্দরের মত ব্যাবস্থা উন্নত দেশগুলোতেও নেই।”
– শাহরিয়ার আলম।
“করোনা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকা,ইতালির চেয়েও বেশী সফল বাংলাদেশ।”
– জাহিদ মালেক
আপাতদৃষ্টিতে গর্দভ খুবই নিরীহ শব্দ, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারা মোটেও নিরীহ নন, আমার ধারণা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজ চোখে দেখলে কাফকা এই তাঁর লাইন গুলোতে সম্ভবত একটা শব্দে পরিবর্তন আনতেন, লাইন গুলো হতো এমন-
‘একজন প্রতারক কেবলই একজন প্রতারক। দুইজন প্রতারক মিলে হয় একাধিক প্রতারক। এবং দশ হাজার প্রতারক মিলে হয় একটি রাজনৈতিক দল।’
গত ৮ ই মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৮ কোটি জনগণের ভেতর মাত্র ১৬০২ জনের কেভিড-১৯ এর টেষ্ট করতে পেরেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ, এর ভেতর করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৫১ জন এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে মারা গেছে ৫ জন সরকারি হিসেবে, যা মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর প্রায় ১০%, এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে সারাদেশে এরই মাঝে মারা গেছে ৫২ জন মানুষ, যাদের কারোই করোনার টেস্ট করানো হয়নি। অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ এখন পর্যন্ত যতজন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করতে পেরেছে, করোনার লক্ষণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা মানুষের সংখ্যাও তার থেকে বেশি। (তথ্যসূত্র- bdcoronainfo.wordpress.com/…/unofficial-death-bd-c…/)
এবং সরকারি হিসেবের বাহিরে যারা করোনার লক্ষণ নিয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই মারা গিয়েছেন খুবই করুণ পরিস্থিতির মাঝে দিয়ে। যেহেতু বেসরকারি হাসপাতাল গুলো আতঙ্কে করোনার সম্ভাব্য কোনো রোগিদের চিকিৎসা দিতে আগ্রহী নয়, এবং সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তারদের কোনোভাবে প্রস্তুতিই দেওয়া হয়নি করোনা মোকাবেলার, এমনকি দেশের সিংহভাগ ডাক্তারের কাছে এখনপর্যন্ত তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম’ই পৌঁছায়নি, ফলশ্রুতিতে করোনার সম্ভাব্য রোগীরা বেশিরভাগই যেমন মারা গিয়েছে প্রায় বিনা চিকিৎসায়, একই সাথে তাঁদের চিকিৎসার চেষ্টা করা ডাক্তারদের ভেতরেও কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসে।
ডিসেম্বরে চায়নার উহানে মহামারীতে রুপ নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে প্রথম রোগী সনাক্ত হবার আগেপর্যন্ত ৩ মাসের মতো সময় পেয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়। এরমাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা’কে ঘোষণা করেছে বৈশ্বিক মহামারী, ইউরোপের সবচেয়ে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা দেশ গুলোতে বয়ে গেছে করোনা আক্রান্ত মানুষের লাশের মিছিল, তবুও, এতো কিছুর পরেও বাংলাদেশে নেওয়া হয়নি করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা, বরং নানানভাবে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতন মস্তিষ্কে উজবুক কথাবার্তা বলে জনগণকে করা হয়ে বিভ্রান্ত এবং পরিনতি হিসেবে করোনা পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক জীবন যাপনের সকল পর্যায়ে, এবং হুমকিতে পড়েছে কোটি কোটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা।
শুধুমাত্র হুমকিতে পড়লেও দুর্ভাবনা হয়তো একটু কম করা যেত, কিন্তু ঘটনা হচ্ছে এই হুমকির থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ এখনো বাংলাদেশের সরকার মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। বরং এই ছোঁয়াচে মহামারীর সময় ঢাকার এক অংশের মেয়র লোক সমাগম করে হাত ধোয়া কর্মসূচি করেছেন মানুষদের নিয়ে, আরেক অংশের মেয়র সারামাস ঢাকার মেহনতি মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিরন্ন মানুষের সমাগম করে করে খাদ্য সামগ্রী না দিয়ে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে মানুষের জীবনের সাথে করেছেন এক মহাতামাশা এবং ঠিক সেই সময়ে যখন যেকোনো ধরণের লোকসমাগমের মূল্য হতে পারে শত শত মানুষের নির্মম মৃত্যু, তেমন সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ১০ আসনের উপ নির্বাচনে ভোট দিয়ে নাগরিকদের উৎসাহিত করেছেন ঘর থেকে বের হয়ে এসে নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে। এভাবেই চলতে চলতে যখন দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না ক্ষমতাসীন নেতাদের, তখন জনগণের মৌলিক চাহিদা গুলো (খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান) নিশ্চিত না করেই তড়িঘড়ি করে ঘোষণা করা হলো লকডাউনের/সাধারণ ছুটির। যেই ছুটির অভ্যন্তরে আবার নেই সবচেয়ে বেশি জনঘনত্বে কাজ করা দেশের লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক, যাদের অনেকেই পায়নি মার্চ মাসের বেতনটুকুও।
এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরেই শুরু হলো সারাদেশে আর্মি ও পুলিশ মোতায়ন , দোকানপাট সব বন্ধ করে দেওয়া হলো, সব ধরণের লোক সমাগম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো এবং বন্ধ হলো দিন মজুর মানুষের জীবিকার একমাত্র আশ্রয়। সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময় বলা হলো- জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বাইরে না বের হয়, কিন্তু বেঁচে থাকার চেয়ে বেশি জরুরী বিষয় আর কি হতে পারে?
দিনমজুর মানুষের বেঁচে থাকার মতো খাদ্যের সংস্থান এই দেশের প্রশাসন করতে না পারায় বেঁচে থাকার তাগিদে সারাদেশের মেহনতি মানুষের নামতে হয়েছে পথে কাজের সন্ধানে, এবং শুধু এই অপরাধেই(?) আমরা দেখেছি রাজধানীসহ সারাদেশে কিভাবে পুলিশ/ আর্মি লাগামহীন ভাবে অপদস্ত করেছে মানুষকে, বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে নিরস্ত্র অসহায় মানুষের উপর, নানান এলাকায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা লাঞ্চিত করেছে সাধারণ মানুষকে। দেশে এই মুহূর্তে কোনো জরুরী অবস্থা জারি হয়নি, জরুরী অবস্থা জারি হলে বড়জোর সান্ধ্য আইন চালু হয়, চালু হয় ১৪৪ ধারা, এবং তখনো দেশের কোনো নাগরিক’কে অযথা হয়রানি করার এখতিয়ার রাখেনা সেনা কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এবং সাধারণ অবস্থাতেই ক্ষমতার জোরে যেই আচরণ করছে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, তা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের আইন, সংবিধান এবং নাগরিক মর্যাদার সাথে সাঙ্গঘর্ষিক। তাহলে কি আমি বলছি সবাইকে যেন বাইরে বের হতে পারে নিরাপদে এই মুহূর্তে সেই পরিস্থিতি তৈরি করা জরুরী? মোটেই না। সবার তো এখন ঘরেই থাকা প্রয়োজন, এবং তারচেয়ে বেশি প্রয়োজন সবাই যেন ঘরে থাকতে পারে সেই আয়োজন নিশ্চিত করা, যা করতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতারক সরকার কোনো ধরণের নজির স্থাপন করতে সক্ষম হয়নি। প্রতারক বলছি এই কারণে যে- বাংলাদেশে যেই মানুষটা ভিক্ষা করেও খায়, সেও নানান সময় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস খরিদ করার মধ্য দিয়ে সরকারকে তাঁর খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান নিরাপত্তার জন্য ঠিক ততটুকুই ভ্যাট/ট্যাক্স প্রদান করে থাকে, যতটা করে এইদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী। এবং সুবিধা নেবার ক্ষেত্রেও ভিক্ষুক মানুষটাই সবচেয়ে কম সুবিধা গ্রহণ করে থাকে সরকারী বরাদ্দের। তো তাঁর যেই মৌলিক অধিকার গুলো নিশ্চিত করার জন্য সরকার নিশিদিন নানান উপায়ে টাকা নিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাছে থেকে , এর বিনিময় দেশের সংকটময় মুহূর্তে যদি সে তাঁর প্রতিদান না পেয়ে থাকে তবে একে সরকারের প্রতারণার চেয়ে বেশি কিছু আসলে বলা যায় না।
যখনি সরকার কোনো বড় ধরণের সংকটের মুখোমুখি হয়, আমরা দেখি কোত্থেকে যেন একদল ফতোয়াবাজ উজবুক লোকের আগমন ঘটে, তারা নানান ফতোয়া দিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, এতে আপাতঅর্থে তাদের সরকার বিরোধী মনে হলেও তাদের উজবুক ফতোয়ার সবচেয়ে বেশি সুবিধা সবসময় সরকারই পেয়ে থাকে, দায় এড়ানোর জন্য যেকোনো ধরণের দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে দেওয়া যায় তাদের উপর, এবং সাধারণ জনগণ’কে বোঝানো যায়- সরকার আসলে আন্তরিক ছিল, ঘটনা যা ঘটেছে, তা ঘটেছে সরকারের কথা না শুনে ফতোয়াবাজদের কথা শোনায়। অথচ দেশের সর্বোপরি মানুষের বাকস্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করলেও আমরা কখনো দেখিনা সংকটকালে সরকারকে ফতোয়াবাজদের উপর কোনো ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে, বরং কতভাবে তাদেরকে সংকটের প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির করা যায়- বিরামহীন ভাবে চলতে থাকে সেই আয়োজন।
একদিকে শহরগুলোতে কাজের অভাব, না খেয়ে থাকার দিন শুরু হয়েছে। আরেকদিকে কৃষক উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছেনা। ডেইরি খামারিরা বিপদের মুখে। ঢাকার বাইরে শসার দাম নেমেছে ৫০ পয়সায়। এক কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়। বেগুনের কেজি তিন টাকা! একদিকে সবজি নিয়ে দুধ নিয়ে ডিম নিয়ে হতাশ মুখে বসে আছে গ্রামে গঞ্জের উৎপাদক, আরেকদিকে শ্রমজীবী মানুষের ঘরের খাবার ফুরিয়ে আসছে, লকডাউনের দিনে দলে দলে রাস্তায় নেমে আসছে। খাদ্য আছে, কিন্তু মানুষের কাছে তা পৌছাচ্ছে না চাল আছে, কিন্তু মানুষের কাছে তা’ও পৌছাচ্ছে না।
মাঝখানের সরবরাহ চেইনটা ঠিক রাখার দায়িত্বে যারা অর্পিত, এসকল বিষয় নিয়ে তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ এখনো দেখা যায়নি।
করোনার মহামারী কিভাবে কাটিয়ে উঠবো আমরা, তা এখনো অনিশ্চিত, করোনার সাথে লড়াই করে যাওয়া ডাক্তাররা যখন পিপিই পাচ্ছেন না তখন আমলারা ফটোসেশন করছে পিপিই পড়ে, ১৮ কোটি মানুষের দেশে করোনা টেস্ট করার জন্য ২৭ মার্চ পর্যন্ত সরকারের ছিল মাত্র ১৭০০ কিট, করোনা টেস্ট করানোর জন্যেও প্রয়োজন হচ্ছে উচুমহলের তদবির, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা করোনার কোনো পূর্বলক্ষণ ছাড়াই টেস্ট করিয়ে করছেন টেস্ট কিট নিয়ে বিলাসিতা, পুরো দেশে করোনা সনাক্ত করতে সক্ষম এমন ল্যাবের সংখ্যা এখন পর্যন্ত মাত্র একটি। করোনা মোকাবেলা অনিশ্চিত হলেও আমাদের সামনে আরো একটা নিশ্চিত মহামারী আছে, যাকে মোকাবেলা করাও জরুরী। সেই মহামারীর নাম ক্ষমতা, সেই মহামারী ক্ষমতার মহামারী। দুর্নীতিতে কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন দেশটির ক্ষমতার অপব্যবহার একদিকে যেভাবে বাড়ছে, অন্যদিকে সমানতালে কমছে ক্ষমতার সুষ্ঠু প্রয়োগ। এতে একদল প্রতারকের কাছে জনগণ বারবার প্রতারিতই হচ্ছে শুধু। বাংলাদেশ তার জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সূচকেই একটি সফল রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেনি, সকল দিক থেকেই ব্যর্থ এই রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনোভাবেই টিকে থাকার কথা নয়, টিকে আছে শুধুমাত্র এই দেশের মানুষের মানবিকতার কারণে। যেকোনো সংকটেই এখানকার মানুষ রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যায় বিপদগ্রস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর (কেউ কেউ যে এর বিপরীত করেন না, এমনটা নয়), এতে অসহায় মানুষ তাৎক্ষণিক কিছু সুবিধা পেলেও কোনোভাবেই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর দায় এড়িয়ে যায়না প্রতারক রাজনৈতিক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই প্রতারক রাষ্ট্রের। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে বলে এখনো টিকে আছে এই রাষ্ট্র, মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াক চিরকাল এভাবেই, এবং এর সাথে প্রস্তুতি যদি না নিতে পারে করোনা পরবর্তী সময় ক্ষমতার মহামারীকে মোকাবেলা করার তবে এরপর অসহায় কোনো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষটিও আর অবশিষ্ট থাকবে না। গ্রাস হয়ে যাবে ক্ষমতার প্রতারক রাজনৈতিকদের ক্ষমতার মহামারীর কবলে।
Shoikot Amin is an anti-authoritarian poet and activist from Bangladesh. He believes in equal rights for all human beings on this planet and the right of every other living being to live free.