চোখবন্ধ অন্ধ সময় | শামীম রুনা, Shuddhashar

চোখবন্ধ অন্ধ সময়

Share this:

ধারাবাহিক উপন্যাস | চোখবন্ধ অন্ধ সময়

ষোল

            সাধারণ মানুষের কাছে প্রায় অপরিচিত, দীপাবলী দীপাদের অন লাইন পত্রিকার লালমাটিয়ার অফিসটির সামনে শ খানেক মানুষের জটলা। ওরা সবাই বেশ তালে তালে শ্লোগান দিচ্ছে সম্পাদক আর মণিষার ফাঁসি চেয়ে। জানালার পর্দা আলগোছে সামান্য ফাঁক করে বাইরে উঁ কি দিয়ে দেখলেন সম্পাদক তারপর ঘরের অন্যদের দিকে তাকিয়ে বললো, ধর্মের নামে তান্ডব করা মানুষের কবে কমবে?

            যতদিন না মানুষ শিক্ষিত হবে। ফরেন ডেস্কের চিপ রিপোর্টার আনাস বলে।

            তুমি কি বলছো বাইরে যারা দাঁড়িয়ে আছে ওরা সবাই অশিক্ষিত?

            পড়তে লিখতে পারাকে যদি আপনি শিক্ষার মানদন্ডে ফেলেন সেটা অন্য কথা। শিক্ষিত বলতে তো বিবেক বোধ আর মেধা দিয়ে যাচাই বাচাই মনে করি আমি। বাইরে যারা দাঁড়িয়ে ওরা তো সবাই গন্ড মূর্খ । আপনি যদি বলেন, আমি ওই জটলায় গিয়ে কয়েকজনকে ইন্টারভিউ করে আসতে পারি, ওদের নব্বই পারসেন্টাই কোনো কিছু না জেনে আজকের মিছিলে এসেছে।

            তা অবশ্য ঠিকই বলেছো। সেই নব্বই দশকে যখন তসলিমা নাসরিনের কল্লা চেয়ে হাজারে হাজারে মোল্লারা মিছিল আর শ্লোগান দিচ্ছিল সে মিছিলের কজন মোল্লা খোঁজ রাখতো তসলিমা নাসরিন কী লিখেছে। গুটি কয় নেতা ওদের কেবল একটি অন্ধ ধারণা দিয়েছিল, তসলিমা নাসরিন ধর্ম নিয়ে খারাপ কথা বলেছে, ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।ব্যস, ধর্ম আর ধর্মের বিরুদ্ধে খারাপ কথা এইটুকুই একটি দেশকে অস্থিতিশীল করবার জন্য যথেষ্ট। আর দেশকে বরংবার অস্থিতিশীল করার সহজ উপায় এর চেয়ে আর কী হতে পারে? রাজনীতিবীদ আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা দেশকে স্থিতিশীল করবার নামে কিছু এ্যাকশন করো, সাধারণ মানুষের কাছে আস্থাভাজন হওয়ার এই চেয়ে সহজ পথ আর কী আছে? নেতা আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষদের আবেগটা নিয়ে নিজেদের আদিপত্য বিস্তার আর ব্যবসা করে গেল।

            একজেক্টলি। মানুষরা শিক্ষিত হলেই ওই কালপ্রিটদের ভাঁওতাবাজী ধরতে পারবে আর ধর্মের নামে এমন তান্ডব বন্ধ হবে তখন। সম্পাদকের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে আনাস বলে।

            ডিসকাসন ভালো তবে ঠিক এটি কি যথার্থ সময়! সাহিত্যপাতার রেবা কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে।

            সমস্যা কী এতে? সম্পাদক জানতে চান।

            দারোয়ানরা মিছিলের লোকদের কতক্ষণ ঠেকিয়ে রাখবে? পুলিশ তো এখনও এলো না, যদি ওরা অফিসে ঢুকে পরে?

            আমার অবজারভেশন বলে ওরা এক্ষুনি অফিসে ঢুকবে না। আদৌ ওদের অফিসে ঢুকার প্ল্যান নেই। তা যদি থাকতো তবে প্রথম ধাক্কায় তা করতো। ওরা জাস্ট শো অফে এসেছে। তবে একবারে খারাপ কিছু যে ঘটতে পারে না এমন গ্যারান্টিও দিতে পারছি না।

            বস্ আপনি দেখে চামে চামে রেবাপারে ভয় পাওয়াইতেছেন। দীপা হেসে বলে।

            না ভয় পেও না রেবা। পুলিশ এলো বলে, ঠিক তখনই নিচের রাস্তা থেকে পুলিশের সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। ঘরের সবাই আবার জানালার কাছে গিয়ে উঁ কি দেয়।

            ভয় করছে তোমার? সোফার কোণে চুপ হয়ে বসে থাকা মণিষার দিকে তাকিয়ে দীপা জানতে চায়।

            নাহ্।

            হুম, আমি জানি, তুমি ভয় পাওয়ার মেয়ে নও। যদি ভয় পেতে এতো দূর একা আসতে পারতে না। সামনের পথটাও  তোমাকে কিন্তু একাই এগিয়ে যেতে হবে, ভয় পেলে চলবে না। আমাদের মতো কেউ কেউ হয়ত কিছুটা পথ তোমার সঙ্গে হাঁটবে তবে সব সময় নয়। তোমার পথ তোমাকে একাই তৈরী করে এগিয়ে যেতে হবে।

            দীপার কথা শুনে মণিষা ম্লান মুখে হাসার চেষ্টা করে। পাশে বসা আফিফা মণিষার হাতে মৃদু চাপ দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেয়। 

এসময় সম্পাদকের ঘরে কয়েকজন পুলিশ এসে ঢুকে, তাদের একজন পরিচয় দেয় নিজেকে ওসি খালেদ বলে।  ওসি খালেদ সম্পাদকের সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করে বলে, বস্, আপনারা এসব নিউজ করার আগে আর একটু ভাবনা চিন্তা করতে পারেন না? কী লাভ এমন নিউজ করে? এসব নিউজে কী দেশ উদ্ধার হবে? হবে না।  আমাদের দেশের পাবলিক কি সব খায়? এখনও পাবলিকরা হয় আমিষভোজী নয় নিরামিষভোজী, এর বাইরে যে আর কিছু থাকতে পারে সে সম্পর্কে এদের ধারণা হাঁটুর নিচে।  বৃটিশরা ধর্ম দিয়ে আমাদের দুই ভাগে ভাগ করে বৃটেন চলে গেছে সেই কোন কালে কিন্তু তাদের সে বৃটিশ মন্ত্রণা এখনও কাজ করে যাচ্ছে আমাদের শিরায়। ধর্মকে  রাজনীতির ঢাল বানিয়ে আমাদের কামড়া কামড়ি আর ভাগা ভাগি এখনও  শেষ হয় নাই, হবেও না। আপনারা বস্ সে সব কামড়া কামড়ির মধ্যে আত্কা ঘি ঢেলে দেন। এতে লাভের লাভ কিছু হয় না খালি একটু আমাদের হুজ্জত বাড়ানো ছাড়া।

            আপনার কথা আপত্তিজনক, সম্পাদক কিছু বলার আগে দীপা বলে উঠে। আপনি কী বলতে চান, রাজনীতিবীদরা কামড়া কামড়ি ভাগা ভাগি করবে আর দেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই? আমাদের প্রতিবাদে কিছু হবে না এমনটা ভেবে নিয়ে সবাই চুপ করে বসে থাকবো যাতে করে আপনাদের হুজ্জত না বাড়ে? যাতে করে আপনারা আরামচে নেতাদের সেবা করতে পারেন?

            দেখলেন তো ম্যাডাম আপনাদের একটি নিউজের কারণে কেমন কোণঠাসা হয়ে বসে আছেন। সাহায্যের জন্য পুলিশ ডাকতে হলো।

            আপনাদের কাজ তো শুধু রাজনীতিবীদদের সেবা করা নয়, আমাদেরও তো কিছুটা অধিকার রয়েছে আপনাদের সাহায্য পাবার, তাই না?

            অবশ্যই রয়েছে। শোনেন সবাইরই দেশের জন্য নিজ নিজ দায়িত্ব কর্তব্য যা যা করতে চান তা করার অধিকার আছে। কিন্তু কাজ শেষে হাঙ্গামা ছাড়া আর কোনো রেজাল্ট যখন পাবেন না তাহলে কেন করবেন?

            ওসি সাহেব নিচের পরিস্থিতি কেমন? দীপাকে পাল্টা কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সম্পাদক জানতে চান।

            সমস্যা কিছু হবে না বস্। অল্প সময়ের মধ্যে ওরা চলে যাবে। তবে মোল্লারা হলে কিন্তু সমস্যায় পরতেন।

            তা তো হতোই, রাষ্ট্র ধর্মের কান্ডারী বলে কথা….

            ওসি খালেদ হেসে বলে, কান্ডারীদের কথা কাঙালীদেরও শুনতে হয় বৈকি। বস্, পরিস্থিতি আমরা সামালে নিচ্ছি তবে আপনারা আপাতত অফিস থেকে কেটে পরেন।

            আমরা না হয় অফিস থেকে চলে গেলাম কিন্তু এই মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা করবেন?

            কোন মেয়ের জন্য?

            মণিষার জন্য।

            এই সেই মেয়ে!… বস্ আপনি দেখি পুরাই ডেভিল ওয়ার্কশপ বানিয়ে বসে আছেন! ওসি খালেদ খ্যাক খ্যাক শব্দে হেসে ওঠে।

            আপনি তো স্বয়ং লুসিফার হয়ে আসছেন, দয়া করে মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য যদি  কোন ব্যবস্থা করতেন। দীপা ফোঁড়ন কেটে বলে।

            দেখেন নিরাপত্তার কথা যদি বলেন আমরা মেয়েটিকে কাস্টডিতে নিতে পারি। তবে আমার বিবেচনায় সেটি এই মুহূর্তে ঠিক হবে না। এই কয় দিন সে কোথায় ছিলো?

            মেয়েদের একটি হোস্টেলে ওর থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম আমরা। কিন্তু হোস্টেলের লোকজন ওর ব্যপারে জেনে গিয়ে আর রাখতে চাচ্ছে না। মোটামুটি বেরই করে দিলো। দীপা জানায়।

            আপনাদের সঙ্গে নারী সংগঠণগুলোর যোগাযোগ হয়নি? ওরাই না হলে ওর থাকার ব্যবস্থা নিতে পারতো। 

            যোগাযোগ হয়েছে, তারা মণিষার দায়িত্বও নিতে চেয়েছেন। সমস্যা হলো, এতো বড় একটি দুর্যোগের ভেতর দিয়ে এই পর্যন্ত এসে মেয়েটি এখন বিপর্যস্ত। সে তার পরিচিত আফিফাকে ছেড়ে আর কোথাও যেতে চাইছে না। আমাদেরও মনে হলো এই মুহূর্তে ওকে আর তেমন প্রেশার দেয়াটাও ঠিক হবে না।

এই সময় পট্ পট্ করে কিছু ঢিল এসে অফিসের কাঁচের জানালায় পরে, একটি জানালার কাঁচ সশব্দে ভেঙে গেলে নিচ থেকে এক প্রকার উল্লাস ধ্বনি ভেসে আসে, যেন কাঁচ ভাঙাতেই ওদের বিজয় সমাগত! ঘরের সবাই চমকে ওঠে, রেবা আতঙ্কিত হয়ে দীপার গলা জড়িয়ে ধরে। ওসি খালেদ জানালার কাছে গিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখে নিয়ে সঙ্গে আসা একজনকে বলে, ব্যাটারা মনে হয় একটু ঝামেলা পাকাইতে চায়। এক কাজ করেন, নিচে গিয়ে দেখেন পরিস্থিতি ঝামেলার মনে হলে হাল্কার উপ্রে ঝাপসা করে লাঠি চার্য করেন, সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। ভাড়ার লোকজন নিয়ে আসছে তো, দুই একটা লাঠির বাড়ি পরলে পালিয়ে দিশা পাবে না এক একটা।

            লাঠি চার্যের দরকার কী? বাদ দেন না লাঠি চার্য… আফিফা মিন মিন কণ্ঠে বলে। ওসি খালেদ হেসে বলে, ম্যাডাম আমরা অতোটা পাষাণ নই, পারতে মারধোর করি না। যদি সম্ভব হতো ওদের বুঝিয়ে বলতাম। কিন্তু হাল্কা এ্যাকশন না নিলে ওরা সারা দিন রাস্তা আটকে রাখবে। নিজেদের তো কাজ নাই অন্যদেরও ঝামেলায় ফেলবে। ওরা হলো ঝামেলাবাজ নিষ্কর্মা লোকজন, দুই একটা বাড়ি খাইতে দেন, আবার খ্যাক খ্যাক করে হেসে ওঠে সে দীপার দিকে তাকায়, ম্যাডাম কিছু ভবলেন মেয়েটিকে কোথায় রাখবেন?

            আমি দুই এক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, দেখি কোন রেজাল্ট পাই কিনা….

            এই সময় নিচ থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ ভেসে আসে, সবাই জানালার কাছে গিয়ে ভীড় করে নিচের অবস্থা দেখার জন্য। কেবল মণিষা নিজেকে সোফার আরো গভীরে ঠেঁসে দিয়ে সব শব্দ থেকে লুকাতে চাইছিলো, ওর চোখে মুখে বোবা আতঙ্ক। মণিষার মুখের ভাব দেখে দ্রুত এগিয়ে এসে ওকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে আফিফা, তা দৃষ্টি এড়ায় না ওসি খালেদের। সে সম্পাদক আর দীপার দিকে তাকিয়ে বলে, আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে সব কিছু কন্ট্রোলে চলে আসবে। ভালো কথা, মেয়েটির থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি ওর মানুসিক দিকটাও লক্ষ্য রাখবেন। ও যে দুঃস্বপ্ন থেকে উঠে এসেছে তা ওকে দীর্ঘদিন ট্রমাটাইজ করে রাখবে। এ থেকে উদ্ধার পাবার জন্য ওকে একজন সাইকাইট্রিস্টের সাথে কথা বলতে দিন। 

            হ্যাঁ আমরাও বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। সম্পাদক বলে।

            আফিফার মোবাইল ফোন বেজে উঠলে সবাইর এক নাগাড়ে কথা বলার মধ্যে সেকেন্ডের বিরতি নামে। আফিফা ফোন নিয়ে পাশের ঘরে চলে যায় আবার একটু পর ফিরে আসে, ওর মুখমন্ডল বিবর্ণ আর ভয়ার্ত দেখায়।

            কী হয়েছে? কী প্রবলেম? দীপা জানতে চায়।

            হুম সাংঘাতিক সমস্যা। কাল রাতে মণিষাদের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।

            মণিষা বোবা দৃষ্টিতে আফিফার দিকে তাকালে সে আবার বলে, কারো কোনো ক্ষতি হয় নাই। কাকা কাকিমাসহ বাড়ির সবাই ভালো আছে। তারা সবাই এখন আমাদের বাড়িতে আছে।

            ওর আত্মীয় স্বজনরা কি জানে মণিষা কোথায় আছে? দীপা জানতে চায়।

            তুমি না জানাইতে নিষেধ করলা তাই আমি আমার বাড়ির কারোকেও জানাই নাই।

            ওসি খালেদ জানালা দিয়ে আর একবার বাইরে দেখে নিয়ে জানায়, বিপ্লবীরা মোটামুটি চম্পট দিয়েছে। মাইরের উপর ওষুধ নাই কী বলেন? আফিফার দিকে তাকিয়ে রসিকতা করে সে। 

            এখন আমাদের কী করণীয়? সম্পাদক জানতে চান।

            আপাতত অফিস থেকে নিরাপদ কোথাও চলে যান। একটু সাবধানে থাকবেন। চাইলে আপনি পুলিশ প্রটেকশন পেতে পারেন।

            ধন্যবাদ। তবে আশা করি পুলিশ প্রটেকশন ছাড়া চলতে পারবো। আর কী করে এতো দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলেন আপনারা, সত্যিই বিস্ময়কর।

            দীপাবলী দীপার মোবাইল ফোন বাজলে সে ধরে, হ্যাঁ না দিয়ে কথা সেরে ফোন কেটে দিয়ে সে সম্পাদকের দিকে ফিরে বলে, মিডিয়া জেনে গেছে মণিষা আমাদের অফিসে। ওরা ওর ইন্টারভিউ করতে চায়। 

            কিছুক্ষণের মধ্যে মিডিয়া এই অফিসের ওপর হুমড়ি খেয়ে পরবে। তার আগে মেয়েটিকে অফিস থেকে সরিয়ে নেয়া দরকার। সম্পাদক বলে।

            আমি আপনাদের নিরাপদে কোথাও ড্রপ করে দিতে পারি, ওসি খালেদ জানায়।

            কিন্তু যাবো কোথায়? এতো বড় ঢাকা শহর, এতো মানুষজন কিন্তু কারো কাছে আশ্রয় পাওয়ার নেই। আফিফা বিড়বিড় করে।

            দীপা কারোকে ফোন করে কথা বলে। ফোন অফ করে সে  সম্পাদকের দিকে তাকিয়ে বলে, হাউজ টু ফ্রিডমের সায়কা আপার সঙ্গে কথা হয়েছিল, উনি এই মাত্র জানালেন, আপাতত কিছু দিন মণিষার নিরাপদে থাকার মতো একজনের বাড়ি পাওয়া গেছে। যেখানে চাইলে মণিষার সঙ্গে আফিফাও কিছু দিন থাকতে পারবে।

            এতো বেশ ভালো খবর। সম্পাদক বলে।

            চলুন, আপনাদের আমি দ্রুত নামিয়ে দিয়ে আসি । আমার আবার মন্ত্রীর সেমিনারের ডিউটিতে যেতে হবে।

            ওসি খালেদের কথায় এবার দীপা হেসে ওঠে, আপনাকে আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। আপনি ডাবল রোল প্লে করা একজন আর্টিস্ট।

ভালোই বলছেন আর্টিস্ট! আদতেই সব মানুষ এক একজন চুতিয়া আর্টিস্ট! ওসি খালেদ আবার খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠে।

 

Shamim Runa, novelist, playwright, film critic and women rights activists.

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শুদ্ধস্বর
error: Content is protected !!