জিনিওলজির ধারণা; জিল দেল্যুজ

Share this:

অনুবাদকের ভূমিকা: জিনিওলজি পদ্ধতি ক্রিটিকের বহুমাত্রিক সম্ভাবনাময় দিককে উন্মোচন করে। এই সম্ভাবনময় ক্রিটিকগুলো সামাজিক পরিস্থিতির জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।নিৎসের  জিনিওলজিকে কেন্দ্র করে, বিস্তৃত ঘটিয়ে  অথবা তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন ধারার চিন্তাভাবনার সূত্রপাত ঘটে। এর মধ্যে উত্তর-আধুনিক,উত্তর-ঔপনিবেশিক চিন্তা ও ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের ক্রিটিকাল থিওরি  অন্যতম।ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের ক্রিটিকাল তাত্ত্বিক বিশেষত এডোর্নো’র ওপর নিৎসের ব্যাপক প্রভাব ছিলো। এডোর্নো এবং হরখেইমার কতৃক ক্রিটিকাল থিওরিকে কাঠামোবদ্ধ করা ও এনলাইটেনমেন্টকে ক্রিটিক করার ক্ষেত্রে নিৎসের বিভিন্ন ধারণাকে ব্যবহার করেছেন।ক্রিটিকাল থিওরির আলোকায়িত নৈতিকতার ভিত্তিকে ক্রিটিক, “আত্ম-রক্ষাকেন্দ্রিক” এনলাইটেনমেন্টের ক্রিটিক অথবা সংস্কৃতি কারখানার মধ্যে জনসাধারণের প্রতিরোধের  মনস্তাত্ত্বিকতার বিশ্লেষণে  সরাসরি নিৎসের প্রভাব উপস্থিত।তবে ক্রিটিকাল থিওরির দ্বিতীয় প্রজন্মের  চিন্তক হাবারমাস নিৎসিয়ান চিন্তা থেকে ক্রিটিকাল থিওরির ব্যবচ্ছেদ ঘটাতে চেয়েছেন।

উত্তর-ঔপনিবেশিক চিন্তার বিকাশের ক্ষেত্রে নিৎসের জিনিওলজির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। ফ্রানৎস ফানোঁ , এডওয়ার্ড সাইদ এবং আশিল এমবেম্বের মতো উত্তর-ঔপনিবেশিক চিন্তকরা ঔপনিবেশিক ও উত্তর-ঔপনিবেশিক সমাজের সমস্যাসমূহকে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিৎসের রিসেন্টিমেন্টের ধারণাকে ব্যবহার করেছেন। এডওয়ার্ড সাইদের বিখ্যাত ওরিয়েন্টালিজম বইয়ের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে জিনিওলজি। সত্যের ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি নিৎসের On Truth and Lies in an Extra-Moral Sense প্রবন্ধকে ব্যবহার করে প্রাচ্যতত্ত্ববিদদের পদ্ধতিগত ও নির্মিত সত্যকে উন্মোচন করেছেন।

একইভাবে মিশেল ফুকো, জিল দেল্যুজের মতো বিভিন্ন উত্তর-আধুনিক চিন্তকরা তাদের বিভিন্ন কাজে নিৎসের পদ্ধতিকে ব্যবহার করেছেন।দেল্যুজের জ্ঞানত্তত্বে জ্ঞান কোন চূড়ান্ত লক্ষ্য নয় বরং তা চলমান প্রক্রিয়া।প্রথাগত পশ্চিমা দর্শনের ধারাকে ক্রিটিক করে দেল্যুজ তার জ্ঞানতত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করেন।প্রথাগত চিন্তার ক্ষেত্রে জ্ঞান ছিলো চূড়ান্ত লক্ষ্য ও সার্বিক সত্যের সাথে সম্পর্কিত।নিৎসের জিনিওলজি এবং ক্রিটিক দ্বারা প্রভাবিত দেল্যুজ এই প্রথাগত অবস্থান থেকে তার দর্শন চিন্তায় বাঁক নেন।তার চিন্তাভাবনা ধ্রুপদী চিন্তার সাথে উত্তরাধুনিক চিন্তাভাবনার একটি সমঝোতামূলক অবস্থান।

দেল্যুজ তার Nietzsche and Philosophy বইয়ে নিৎসের দর্শনের একটি তাৎপর্যপূর্ণ পাঠ হাজির করেছেন।বইয়ের প্রথমদিকে দেল্যুজ নিৎসের জিনিওলজি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ অনুবাদটি দেল্যুজের নিৎসে সম্পর্কিত জিনিওলজি প্রসঙ্গে। দেল্যুজ মনে করেন নিৎসের দর্শনের বৈচিত্রভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হলেও ক্রিটিক বিষয়টি যে তার চিন্তার কেন্দ্রে ছিলো এটি খুবই স্পষ্ট। ক্রিটিকের মাধ্যমেই কোনকিছুর প্রকৃত উৎপত্তিসন্ধান করা যায়।এই অর্থে নিৎসের ক্রিটিক বিষয়টি ইতিবাচক। ইতিবাচক অর্থে এটি কান্টিয়ান দর্শন এবং উপযোগাবাদী দর্শনের সাথে ক্রিটিকাল সম্পর্ক গড়ে তুলে। কারণ এই উভয় ধারাই একটি  উদ্দেশ্যবাদী(Teleological) আদর্শ বা মূল্যবোধ  গড়ে তুলেছে, যেখানে লক্ষ্য বিষয়টিই চূড়ান্ত, কী কী উপায়ে সে লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে তা মূখ্য নয়।এছাড়া নিৎসের মূল্যবোধের উৎপত্তিসন্ধান মূল্যবোধকে আপেক্ষিক ধাঁচে ফেলে ক্রিটিক করেনা। নিৎসের জিনিওলজি হচ্ছে মূল্যবোধের উৎস সন্ধানের “সক্রিয়” ও “স্বতঃস্ফূর্ত ক্রিয়া।”

অনুবাদক: জাহিদুল ইসলাম

 

নিৎসের সর্বপ্রধান  প্রকল্প হচ্ছে দর্শনের মধ্যে চেতন এবং মূল্যবোধের ধারণাকে উদঘাটন করা।এটি খুবই স্পষ্ট যে আধুনিক দর্শনের মধ্যে নিৎসের বিভিন্ন ধারণার  উপস্থিত রয়েছে।তবে সম্ভবত তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে নয়।নিৎসের চেতনা এবং মূল্যবোধ সম্পর্কিত দর্শনের কেন্দ্রে যে “ক্রিটিক” বিষয়টি উপস্থিত ছিলো তিনি এ ব্যাপারে কোন গোপনীয়তার অবকাশ  রাখেননি। নিৎসের এ ধরনের কাজের দিকে মনোযোগ দেওয়ার অন্যতম কারণ  ছিলো কান্টের দ্বারা সত্যিকারের ক্রিটিককে সম্পন্ন না হওয়া।কারণ কান্ট ক্রিটিকের সমস্যাকে মূল্যবোধের দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেননি।যার ফলে আধুনিক দর্শনের মূলবোধসমূহের তত্ত্ব প্রচলিত এবং নমনীয় ধারার কাঠামোসমূহের জন্ম দিয়েছে।যদিও আধুনিক প্রচলিত কাঠামোর কার্য উপযোগিতায় ফেনোমেনোলজি প্রায়শই উপস্থিত থাকে, তবুও  নিৎসিয়ান স্পৃহাকে সংস্থাপনের ক্ষেত্রে ফেনোমেনোলজিকাল কৌশল ভূমিকা রেখেছে।কিন্তু নিৎসে পাঠের ক্ষেত্রে আমাদের এ বাস্তবতাকে স্বীকৃতির মাধ্যমে সূচনা করতে হবে যে, তার দ্বারা পরিকল্পিত ও বাস্তবায়িত দর্শনের মূল্যবোধসমূহ হচ্ছে ক্রিটিকের বাস্তব উপলব্ধি।শুধুমাত্র যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবার্ত্মক ক্রিটিককে উপলব্ধি করা হয়েছে তা হচ্ছে,(philosophise with a hammer)”ভক্তির পাত্রসমূহের যে সত্যিকার পবিত্রতার উপস্থিত রয়েছে তা পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়া।”

প্রকৃতপক্ষে মূল্যবোধের ধারণা একটি ক্রিটিকাল পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। একদিকে মূল্যবোধ মূলনীতি হিসেবে আবির্ভাব ঘটে বা অর্পিত হয় এবং কোনধরনের প্রপঞ্চসমূহকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে পূর্বনির্ধানকৃত মূল্যবোধসমূহকে বিচার করা হয়। অন্যদিকে এবং খুব গভীরভাবে, মূল্যবোধ হচ্ছে তা যাকে পূর্বনির্ধারিতভাবে বিচার করা হয়।এসব “গুণনির্ধারিত পরিপ্রেক্ষিত” থেকেই নিজেদের নিজস্ব মূল্যবোধের উদ্ভব ঘটে।ক্রিটিকের সমস্যা হচ্ছে মূল্যবোধসমূহের মূল্যবোধ,যেখানে থেকে মূল্যবোধের উৎপত্তি তার মূল্যায়ন। যদিও তা নিজেদের তৈরিকৃত সমস্যা।মূল্যায়নকে উপযুক্ত মূল্যবোধের জাতগত বৈশিষ্ট্যমূলক উপাদান হিসেবে অপবাদ দেওয়ার বৈশিষ্ট্য একইসাথে ক্রিটিকাল ও সৃজনশীল।মূল্যায়নসমূহের অন্ত:সার কোন মূল্যবোধ নয় বরং অস্তিত্ব হওয়ার প্রক্রিয়া।অস্তিত্ব হওয়ার প্রক্রিয়াই বিচার ও মূল্যায়নের কাজ করে; মূল্যবোধসমূহের মূলনীতি হিসেবে সহায়তা করে যার উপর ভিত্তি করে বিচার করা হয়।যার ফলে আমাদের অস্তিত্বের প্রক্রিয়া অথবা যাপিত জীবনের মধ্যে আমরা যেগুলোকে কাঙ্ক্ষিতভাবে বিশ্বাস, অনুভব এবং চিন্তা করি তা অর্পন করা হয়।

কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে শুধুমাত্র বলা,অনুভব অথবা ধারণ করা যায়,মূল্যবোধ হচ্ছে এগুলোর সাথে সম্পর্কিত। “ভিত্তি” মূল্যায়নের শর্তে: “ভিত্তি” কে যাপন ও চিন্তার সাথে মূল্যবোধ সম্পর্কিত।এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় যে “উঁচু” এবং “নিচু”,  “অভিজাত” এবং “হীন” এগুলো মূল্যবোধ না হলে ও এগুলোকে, মূল্যবোধসমূহের মূল্যবোধ যেখান থেকে জন্ম নিয়েছে তার জাতগত বৈশিষ্ট্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

ক্রিটিকাল দর্শনের দুটি অবিচ্ছেদ্য মূহুর্ত রয়েছে: সবকিছুকে পিছনে ফিরে উল্লেখ করা এবং যেকোন ধরনের উৎসের মূল্যবোধকে বিশ্লেষণ করা।পাশাপাশি মূল্যবোধের উৎস এবং নির্ধারণ হিসেবে যা ছিলো পিছনে ফিরে তা উল্লেখ করা।এটি হচ্ছে নিৎসের দ্বৈত সংগ্রাম।যে সংগ্রাম একদিকে তাদের বিরুদ্ধে যারা ক্রিটিসিজম থেকে মূল্যবোধসমূহের বিষয়কে উচ্ছেদ করেছেন।তারা নিজেদেরকে পরিতৃপ্ত করেন বিরাজমান মূল্যবোধের অস্তিত্ব আবিষ্কারের মাধ্যমে অথবা আধিপত্যশীল মূল্যবোধের নামে কোনকিছুকে সমালোচনার মাধ্যমে(যেমন কান্ট এবং শোপেনহাওয়ারের দার্শনিক শ্রমিক)। নিৎসের সংগ্রামের অন্যদিকে রয়েছে উপযোগবাদের চিন্তকরা।তারা সেসব মূল্যবোধকে বিচার এবং মান্য করে যেসব মূল্যবোধ সাধারণ বাস্তবতা থেকে উদ্ভব হয়েছে অর্থাৎ যেগুলো প্রথাগত  “উদ্দেশ্যবাদী বাস্তবতা।” উভয় ধারার চিন্তার ক্ষেত্রেই দর্শন তার নিজের মূল্য থেকে অথবা সবার জন্য মূলবান হিসেবে গতানুগতিক উপাদানের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়।নিৎসে উভয় ধারার “উঁচু” ধারণার ভিত্তিকে সমালোচনা করেন,যেগুলো সাধারণ কার্যকারণসম্বন্ধনীয় উৎপত্তির ধারণা ক্ষেত্রে মূল্যবোধ সম্পর্কে উদাসীন থাকে।অথবা এগুলো কোন ধারণার মসৃণ সূচনা যেগুলো মূল্যবোধসমূহের নির্বিকার উৎসের জন্য সুপারিশ করে।

নিৎসে জিনিওলজির নতুন এক ধারণা তৈরি করেন।দার্শনিকরা কান্টিয়ান ট্রাইব্যুনাল বিচারক অথবা উপযোগবাদী কৌশলীর চেয়ে বরঞ্চ  জিনিওলজি বিশেষজ্ঞ। হেসিয়ড হচ্ছেন এই ধরনের একজন দার্শনিক।নিৎসে কান্টিয়ান সার্বজনীনতার মূলনীতি এবং উপযোগবাদের অনুরূপ প্রিয় মূলনীতি হিসেবে ভিন্ন এবং দূরবর্তী উদ্দীপক ভাবনার বিকল্প তৈরি করেছেন।“এটি ছিলো সবোর্চ্চ দূরবর্তী উদ্দীপক থেকে তাদের সূচনা যেখানে তারা প্রথম মূল্যবোধসমূহ নির্মাণের অধিকারকে দখল করে এবং নিজেদের নামকে মুদ্রণ করে ; উপযোগ এ বিষয়ে কি সম্পর্কিত ছিলো?”

জিনিওলজি হচ্ছে একইসাথে উৎসের মূল্যবোধ এবং মূল্যবোধসমূহের উৎস। জিনিওলজি সর্বাত্মক মূল্যবোধসমূহের বিরোধিতা করে যেভাবে সে বিরোধিতা করে আপেক্ষিকতাবাদ অথবা উপযোগবাদের।জিনিওলজি জাতগত বৈশিষ্ট্য মূল্যবোধসমূহকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলে যেখানে থেকে তাদের নিজস্ব মূল্যবোধের উৎপত্তি ঘটে।জিনিওলজি অর্থ যদিও উৎস অথবা জন্ম, একইসাথে এটি হচ্ছে উৎসের ভিন্নতা এবং দূরবর্তী। জিনিওলজি মানে হচ্ছে উৎসের মহত্ব এবং ক্ষুদ্রতা, মার্জিত এবং অমার্জিত,আভিজাত্য এবং অবক্ষয়। মার্জিত এবং অমার্জিত,উঁচু এবং নীচ এগুলো হচ্ছে সত্যিকারের জিনিওলজিক্যাল এবং ক্রিটিকাল উপাদান।এইদিক থেকে বিবেচনা করলে ক্রিটিক ব্যাপারটিও খুব ইতিবাচক বিষয়।জাতগত বৈশিষ্ট্যের উপাদান হচ্ছে একইসাথে মূল্যবোধসমূহের মূল্যবোধের ক্রিটিক এবং একটি উদ্ভাবনের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য।এজন্য নিৎসে  ক্রিটিক বিষয়কে ক্রিয়া হিসেবে ধারণ করেছেন প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়। নিৎসে ক্রিটিকের কার্যাবলীকে প্রতিতুলনা করেছেন প্রতিশোধ,দ্বেষ অথবা রিসেন্টিমেন্ট হিসেবে। জরথুস্ত্র তার একটি নথিবদ্ধ লক্ষ্যের সমাপ্তি পরবর্তী অন্যটির দিকে তার “ভাঁড়” এবং “পিশাচ” অনুসারী দ্বারা অনুসৃত হবেন। কিন্তু এসব অনুসারীরা জরথুস্ত্র থেকে ভিন্ন যেভাবে প্রতিশোধ ও রিসেন্টিমেন্ট থেকে ক্রিটিক নিজে ভিন্ন।তার অনুসারীদের সাথে বিভ্রান্ত হওয়ার ফলে জরথুস্ত্র অনুভব করেন এক ভয়ানক অসৎ কর্ম তার সাথে হয়ে থাকে। ক্রিটিক রি-সেন্টিমেন্টের (re-sentiment) এর কোন প্রতি-ক্রিয়া নয় বরং তা সক্রিয় অস্তিত্বশীল ব্যবস্থার সক্রিয় অভিব্যক্তি।এটি কোন সত্তার অস্তিত্বশীল হয়ে ওঠার স্বাভাবিক বিবাদের সূত্রপাত।এটি একধরনের ঐশ্বরিক অনাচার যা ব্যতীত পরিপূর্ণতাকে কখনো কল্পনা করা যেতো না।সত্তার হয়ে ওঠার এই প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্টভাবে দার্শনিক কারণ ব্যক্তির ক্রিটিকের জাতগত বৈশিষ্ট্য ও প্রাণী এবং যার ফলে যন্ত্র হিসেবে তার লক্ষ্য ব্যাপক।নিৎসের মতে তার বিরোধীরা ”হীনভাবে” চিন্তা করে।নিৎসের জিনিওলজির ধারণা নিয়ে তার উচ্চ প্রত্যাশা ছিলো যে এটি হচ্ছে বিজ্ঞানের  একটি নতুন সংঘটিত বিষয়;দর্শনের একটি সংঘটিত বিষয় এবং ভবিষ্যতের মূল্যবোধসমূহের নির্ধারক।

 

নোট:

১)হেসিয়ড হচ্ছেন একজন প্রাচীন গ্রিক কবি। তিনি Theogony নামক একটি মহাকাব্য লিখেন । যে মহাকাব্যের তিনি ঈশ্বরের উৎপত্তি করার জন্য উৎপত্তিসন্ধান পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

 অনুবাদের উৎস

Gilles Deleuze, The Concept of Genealogy in “Nietzsche and Philosophy ” Translated by Hugh Tomlinson,Columbia University Press,2002

 

 

More Posts From this Author:

Share this:

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শুদ্ধস্বর
Translate »
error: Content is protected !!