অনুবাদকের ভূমিকা : করোনা মহামারি রোধে যেখানে সুপরিকল্পিত স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও তথ্যের অবাধ সরবরাহ অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সারা দুনিয়াব্যাপী, সেখানে আমাদের দেশে গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার শোচনীয় অবস্থা লক্ষ করা যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক এক দানবীয় আইনের প্রয়োগে সরকার একের পর এক ধরপাকড় ও হয়রানির মাধ্যমে যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে রেখেছে, তাতে করোনা আতঙ্কের চেয়েও আরও বড় আতঙ্ক হয়ে উঠেছে এটা। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ঢাকতে একরকম ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মিডিয়া সেন্সরশিপ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে। গুজব প্রতিরোধের নামে একে একে ডাক্তার, সাংবাদিক, নার্স, শিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারের সমালোচনা করা যেকোনো ব্যক্তিকেই কব্জা করার নিত্ত নতুন ফন্দি তৈরি করছে সরকার। বিগত কয়েক মাসের ঘটনাপ্রবাহের দিকে খেয়াল করলে অতি সহজেই বুঝা যায় দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে চূড়ান্ত অবনতির দিকে ঠেলে দিয়ে কী ভয়াবহ এক স্বৈরাতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েমের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ তো শুধু মহামারি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার উদ্দেশ্যেই শুধু নয়। বিগত কয়েকবছর ধরে সরকার যেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মিথ তৈরি করেছে, এই এক মহামারির ধাক্কায় তার মুখোশ খুলে যাওয়া শুরু করেছে। ফলে শেষরক্ষা হিসেবে এই মহামারির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকার নিজেই আরেক মহামারি সৃষ্টি করেছে, আলী রীয়াজ যার নাম দিয়েছেন নিগ্রহের মহামারি। করোনা ভাইরাস আক্রমণের শুরু থেকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতেই বিভিন্ন ঘটনাবলীর সূত্র ধরে তিনি আলাপ করেছেন, কীভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পর্যন্ত কেড়ে নিয়ে সরকার তার উন্নয়নের গালগপ্পো টিকিয়ে রাখার রাজনীতি চালু রেখেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নাওমি ক্লেইন কথিত শক-ডক্ট্রিনেরই আরেক নাম বলা যায় এই নিগ্রহের মহামারিকে।
অনুবাদ : তানভীর আকন্দ
নিগ্রহের মহামারি বাংলাদেশে
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো নেতিবাচক বক্তব্য, অডিও-ভিডিও প্রকাশ ও প্রচারের থেকে সরকারি কর্মচারিদের বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৭ই মে জারি করা এই নির্দেশনায় বলা হয় সকল সরকারি কর্মচারিদের “জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে“। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা এই পরিপত্রে নির্দেশনা লঙ্ঘনকারী যে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূল ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি প্রদান করে বলা হয়েছে যারা “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ একাউন্টে ক্ষতিকারক কনটেন্ট প্রকাশ করবে তারা আইনি-ব্যবস্থার সম্মুখীন হবে“। যদিও নির্দেশনায় সরাসরি মহামারি এবং সরকারের ক্রমবর্ধমান সমালোচনার কথা উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু পরিপত্র প্রকাশের সময় এবং এর বিষয় ও সুর করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সরকারি অব্যবস্থাপনা এবং অসঙ্গত উদ্যোগের ব্যাপারে তথ্য নিয়ন্ত্রণের সরকারি প্রচেষ্টাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
সরকারি এই বিবৃতি যখন প্রকাশ পায় ঠিক তার একদিন আগে এগারোজন সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিস্ট এবং স্যোসাল একটিভিস্টকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে গুজব ও ভুয়া তথ্য প্রচারের কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামের ড্রাকোনীয় আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় দুইজন প্রবাসী সাংবাদিকও রয়েছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে পরিপত্র জারির দিনই জেলে পাঠানো হয়েছে। এর দুইদিন আগে, ৫ই মে, একই আইনের অধীনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সুনামগঞ্জ জেলা শহরের একজন সাংবাদিককে আটক করা হয় ক্ষমতাশীল দলের স্থানীয় এক সাংসদকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্টের জন্য। এ মাসের শুরু থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত তাকে নিয়ে৫ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়। সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই আটককৃত সাংবাদিকের সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় আটে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলো কয়েকটি নমুনা মাত্র। মার্চের গোড়ার দিকে দেশে যখন কোভিড-১৯ আক্রমণের শুরু হয় তখন থেকেই সরকার সাংবাদিক ও স্যোসাল একটিভিস্টদের পেছনে লাগা শুরু করেছে। প্রস্তুতির ঘাটতি ও ক্ষমতাশীল দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী চুরির সমালোচনা করার দায়ে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে ও জেলে পাঠানো হচ্ছে। মার্চের শেষের দিকে ডজনখানেক মানুষকে আটক করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করার কারণে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, সরকার-বিরোধী একটিভিস্ট, ডাক্তার ও ছাত্র।
বেশ কিছু ঘটনা দেখা যায় এমন যে র্যাব সদস্যরা বিনা পরোয়ানায় শাদা পোশাকে কয়েকজনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যরা ভয়ে ছিল যে তাদের জোর করে গুম করে ফেলা হবে কিনা। ২০১৯ সালে ঠিক একইভাবে ৩৪ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মাসে প্রবাসী সাংবাদিক তাসনীম খলিলের মায়ের বাড়িতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের যাওয়ার খবর শোনা যায়। তাসনীম খলিল সুইডেনকেন্দ্রিক একটি অনুসন্ধানী নিউজ পোর্টাল সম্পাদনা করেন, যেই ওয়েবসাইটটি সরকার বন্ধ করে রেখেছে। তার মাকে বলা হয় তার ছেলে যেন “দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়“ এমন প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধ করে ।
যদিও গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নাটকীয় পতন ঘটেছে, তবে এটা নতুন বা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। বরং গত কয়েকবছর ধরে, বিশেষ করে ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমাগত যেভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে দমন করা হচ্ছে এটা তারই ধারাবাহিকতামাত্র। বিগত ছয় বছরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক থেকে দেশটির চরম অবনতি ঘটেছে। Reporters without Borders (RSF) এর সূচকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক থেকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ চার ধাপ নিচে নেমে গেছে, তার পরের বছর ২০২০ সালে আরও এক ধাপ পতন ঘটেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ ২০১৭ সালের পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচাইতে নিচের অবস্থান ধরে রেখেছে। আইনি ও আইন বহির্ভূত ব্যবস্থাগ্রহণের মাধ্যমে সাংবাদিক ও মিডিয়াকে নানাভাবে ভীতিপ্রদর্শন ও হয়রানির করে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে রাখা হয়েছে।
এখানে সেলফ-সেন্সরশিপ এতটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে একজন সম্পাদক জানান যে তার কাছে থাকা সংবাদের “১০ কি ২০ শতাংশ“ মাত্রই তিনি প্রকাশ করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকদের নিয়ে গঠিত সম্পাদক পরিষদডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করে। এই আইন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি হয়ে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমাদের আশঙ্কাটাই এখন গণমাধ্যমের জন্য ভয়াবহ বাস্তবতা হয়ে উঠেছে।“ আর্টিকেল-১৯ নামের মিডিয়া ওয়াচডগ সংগঠনটির মতে, মার্চ থেকে শুরু করে মে-এর ৬ তারিক পর্যন্ত এই আইনের অধীনে ৪২ মামলা করা হয়েছে। সংগঠনটি এগারোটি ঘটনার উল্লেখ করে যেখানে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এনে গোপন সংবাদদাতাদের আটক ও হয়রানি করা হয়েছে। সরকারে পক্ষ থেকে অবশ্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের ব্যাপারটা অস্বীকার করা হচ্ছে। সরকারের দাবি অনুসারে, “অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে।“
শুধুমাত্র সাংবাদিকরাই নয়, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার দাবি করা যে কেউই এর শিকার হচ্ছে। ৭ই মে জেলে পাঠানো ৪ জনের একজন দিদারুল ভূঁইয়ার কথা বলা যায় উদাহরণস্বরূপ। সহযোগিদের সাথে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি মনিটরিং ও সামাজিক মাধ্যমে সেসব তথ্য প্রকাশের জন্য একটি গ্রুপ পরিচালনা করছিলেন তিনি। “কোনো সংকটকেই বিফলে যেতে দেয়া হবে না“ কোভিড-১৯ সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এই মন্ত্রকে উল্টোভাবে ব্যবহার করছে। সরকারি কর্মচারিদের দেয়া সাম্প্রতিক নির্দেশনার মতো একইভাবে এর আগে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের গণমাধ্যমের সাথে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে নার্সদেরও, বরখাস্ত হয়েছে কলেজ শিক্ষক, একজন ডাক্তারকে জেলেও পাঠানো হয়েছে, বদলি করা হয়েছে হাসপাতাল পরিচালকদের— নিজ পদ থেকে সরিয়ে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে এমন এক পদে বদলি করা হয়েছে যাতে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া যায়। এই নিষেধাজ্ঞার প্রসার ও প্রকৃতি এতই বিস্তৃত এবং বিশাল যে একে কেবল নিগ্রহের মহামারি হিসেবেই আখ্যা দেয়া যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে সরকারের নজরের কথা সবাই জানে। আর্টিকেল-১৯ এর তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত সরকার ২৫ টি ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিটিআরসিকে আরও ৫০টি একাউন্ট বন্ধের অনুরোধ করেছে এবং আরও ১০০টি একাউন্টের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই আক্রমণের পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও, হাতে গোণা কয়েকটি বাদে মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আর এর পেছনে কারণ হচ্ছে তাদেরকে সরকারের লিখিত ও অলিখিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হয়, এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও পাওয়া যায়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো মনিটর করার জন্য ১৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত এই অনাস্থা আরও বাড়িয়ে তুলে। পরে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হলেও তা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকৃত অবস্থার কথাই জানান দিয়ে গেছে। মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ার সাথে সাথে একদিকে দলীয় সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয় যেমন তেমনি অন্যদিকে মিডিয়া মালিকানাকে এমন এক জটিলতার মধ্যে ফেলে যা মালিকপক্ষকে সরকারি দলের সাথে জড়িয়ে ফেলে। ফলে সরকারের বুঝে উঠতে সমস্যা হয় না যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই বাংলাদেশিদের প্রধান সংবাদ মাধ্যম হয়ে উঠছে, বিশেষ করে তরুণপ্রজন্মের কাছে। দ্বিতীয়ত, আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৮ সালে, তরুণদের উদ্যোগে দুটি আন্দোলন– সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন— সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছিল।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের অব্যবস্থাপনাই এই কৃত্রিম নিগ্রহের মহামারি সৃষ্টি করেছে। আরএসএফের ( Reporters without Borders) রিপোর্ট অনুযায়ী, “সূচকে দেশটির অবস্থান নিচে নেমে যাওয়ার সাথে করোনা মহামারির সুযোগ নিয়ে মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করার স্পষ্ট সম্পর্ক বিদ্যমান।“ কিন্তু দলীয় লোকদের চুরিচামারির তথ্য গোপন করার চেষ্টা, স্বচ্ছতার অভাব, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরাবস্থা, এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবের বাইরেও বাংলাদেশ সরকারের এখানে আরও বড় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। করোনা মহামারি সরকারের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ফাঁপা বুলির মুখোশ খুলে দিয়েছে। করোনা মহামারি সরকারের গত কয়েকবছর ধরে নেয়া উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তসারশূন্যতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার দমন করে ২০১৮ সালে একটি “প্রহসনের নির্বাচন“ পরিচালনা করে, তারা এই যুক্তি হাজির করে যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এইটুকু ত্যাগ আমাদের স্বীকার করতেই হবে। এখন এই ধারণা যখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তখন ক্ষতি পুষাবার জন্য সরকার তার নিজের তৈরি নিগ্রহের মহামারিকে কাজে লাগাচ্ছে।
লেখাটি গত ১১ই মে, ২০২০ তারিখে নিউ আটলান্টিকসে প্রকাশিত হয়। লেখক ড. আলী রীয়াজ আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর।
মূল লেখার লিংক : atlanticcouncil.org/blogs/new-atlanticist/a-pandemic-of-persecution-in-bangladesh/?fbclid=IwAR0Ji4HFKNM23MZt4bfr-qfjXGk_1LJBRUc5yEipePwCVfTmsu5cAuqjDxQ
Ali Riaz is a Distinguished Professor of political science at Illinois State University, USA. He currently also holds the Thomas E Eimermann Professorship. His recent publications include Lived Islam and Islamism in Bangladesh (2017) and Bangladesh: A Political History since Independence (2016). He has coedited Political Violence in South Asia (2019), and Routledge Handbook of Contemporary Bangladesh (2016).
Tanvir Akanda (translator) studied physics in Shahjalal University of Science and Technology, Sylhet. Interested in literature, philosophy, linguistic, colonial history, decolonisation, anti-authoritarianism, comparative literature, translation studies. and various other things. Spends most of the time doing nothing and sometimes reading, writing, and translating texts.