পহেলা বৈশাখ উদযাপন: সংস্কৃতির ‘সমন্বয়’, ঐতিহ্যের ‘নির্মাণ’ ও সাম্প্রতিক বাদানুবাদ

Share this:

বাংলা সন : সমন্বয় সাধনের এক সাহসী প্রচেষ্টার ফল

অর্মত্য সেনের ‘দি আর্গুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান’ বইতে ক্যালেন্ডার নিয়ে একটা ছোট প্রবন্ধ আছে। ভারতবর্ষে যে বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডার/বর্ষপঞ্জিকা আছে সেটা নিয়েই মূলত আলাপ। একটি দেশের ভেতরে অস্তিত্বমান বিভিন্ন ধরনের পঞ্জিকার নজির দিয়ে তিনি আসলে এখানকার সংস্কৃতিতে চালু থাকা ভাবনাচিন্তার বহুরূপী ধারা-উপধারাকে বোঝার চেষ্টা করছেন।

এই পঞ্জিকা/ক্যালেন্ডারের ইতিহাস, ব্যবহার ও সামাজিক অনুষঙ্গ অধ্যয়ন দেশ ও সংস্কৃতির অনেককিছু বুঝতে সাহায্য করে। যেমন সেন বলছেন, ক্যালেন্ডারের প্রায়শই ধর্মীয় একটা ভূমিকা থাকে, তবে ক্যালেন্ডার ও সংস্কৃতির মধ্যকার যে সম্পর্ক তা এই প্রাথমিক যোগসূত্র ছড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত প্রসারিত। যেহেতু ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করার জন্য গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যবহার জরুরি, সেহেতু এই ইতিহাসপাঠ একটা সমাজের নানাবিধ ঐতিহাসিক বিকাশ সম্পর্কেও ধারণা দেয়।

সেন কলিযুগ পঞ্জিকা, বুদ্ধনির্বাণ পঞ্জিকা, বিক্রম সংবৎ পঞ্জিকা, শকাব্দ, বেদাঙ্গ জ্যোতিষ পঞ্জিকা, বাংলা সন, কোল্লম পঞ্জিকা, মহাবীর নির্বাণ পঞ্জিকা, ইসলামি হিজরি সহ ভারতে চালু থাকা নানা ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সেখানে এমন কতক চিন্তা যেগুলো ভারতের হিন্দুত্ববাদী জোয়ারে হাওয়া দিচ্ছে সেগুলোকে ক্রিটিক করেন।

ভারতের ক্যালেন্ডারগুলোর ইতিহাস দেখলে টের পাওয়া যায় কত বিচিত্র উপায়ে সংস্কৃতি ও ভাবের আদান-প্রদান সংঘটিত হয়েছে। বেশ কিছু উদাহরণের পাশাপাশি সেন আকবরের কথাও বলেন। হিন্দু ক্যালেন্ডারের সঙ্গে বৌদ্ধ, জৈন, ইহুদি, পার্সিয়ান, খ্রিষ্টান ইত্যাদি ধর্মের সাথে যুক্ত নানা ক্যালেন্ডার তো ভারতে চালু ছিল, সেখানে ইসলামের আগমণের কারণে হিজরি ক্যালেন্ডারের প্রভাব তৈরি হওয়ার ফলে, ‘ভারতে ধর্মীয় ও পঞ্জিকা সংক্রান্ত বৈচিত্রের চিত্রটি সম্পূর্ণ হল মাত্র’। সেন খুব গুরুত্ব সহকারে আকবরের কথা বলেন। আকবর দীন-ই-ইলাহি প্রচলনের পাশাপাশি একটি সংযুক্ত ক্যালেন্ডারেরও প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন। এই ‘তারিখ-ই-ইলাহি’তে হিজরির বৈশিষ্ট্য থাকার পাশাপাশি খ্রিষ্টান, জৈন ও অন্যান্য পঞ্জিকার নানান বৈশিষ্ট ছিল। দীন-ই-ইলাহির মতো এই ক্যালেন্ডারের স্থায়িত্বও বেশিদিন ছিল না। তবে এর প্রভাব ছিল বেশ। সবচেয়ে স্পষ্ট প্রভাব পাওয়া যায় বাংলা সনে।

বাংলা সন নিয়া বাংলাপিডিয়াতে লেখা আছে, ‘…এ উদ্দেশ্যে তিনি [আকবর] বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীকে প্রচলিত বর্ষপঞ্জিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধনের দায়িত্ব অর্পণ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ৯৬৩ হিজরির  মুহররম মাসের শুরু থেকে বাংলা বর্ষের ৯৬৩ অব্দের সূত্রপাত হয়। যেহেতু ৯৬৩ হিজরির মুহররম মাস বাংলা বৈশাখ মাসের সঙ্গে সামজ্ঞস্যপূর্ণ ছিল, সেহেতু চৈত্র মাসের পরিবর্তে বৈশাখ মাসকেই বাংলা বর্ষের প্রথম মাস করা হয়; চৈত্র ছিল শক বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস, যা সে সময় বঙ্গে ব্যবহূত হতো।’

সেন বাংলা সন প্রচলনে হিজরির এই সম্পৃক্ততাকে ‘সমন্বয় সাধনের এক সাহসী প্রচেষ্টার ফল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘যার উৎস খুঁজে পাওয়া যায় তারিখ-ইলাহির’ সংহতি প্রচেষ্টার মধ্যে। এরপরেই সেন অদ্ভুত সুন্দর একটা কথা বলেছেন: ‘স্থানীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করার সময় কোনো বাঙালি হিন্দু এ-কথা নাও জানতে পারেন যে হিন্দু পূজা-অর্চনার সঙ্গে সম্পর্কিত দিনক্ষণগুলো হজরত মুহাম্মদের মক্কা থেকে মদিনা যাত্রার স্মৃতির সঙ্গে জড়িত। সেটিও সৌর ও চান্দ্র ক্যালেন্ডারের মিশ্রিত রূপ’।

সেন এই কথাগুলো বলছিলেন ভারতে প্রচণ্ড হিন্দুত্ববাদী জাগরণ ও অসহিষ্ণুতার পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি সেগুলো মোকাবিলায় ক্যালেন্ডারের ইতিহাস থেকে মাস বছর ছাড়াও আরও কিছু কথা বের করে আনার চেষ্টা করছিলেন। আমরা সেনের কথার সূত্র ধরে বলতে পারি, বাংলা সনের দেহে রয়েছে ইসলামের পাশাপাশি ভারতে চালু থাকা নানা ধর্মের উপাদান।

 

ঐতিহ্যের ‘নির্মাণ’, কাইজ্জা ও সাংস্কৃতিক রাজনীতি

ঐতিহ্য (ট্র্যাডিশন) হচ্ছে আবিষ্কার (ইনভেনশন) বা নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন)- এই কথাগুলো সমাজবিজ্ঞানে খুব সত্য। মানে সহজ করে বললে, আমাদের যে ইতিহাস জ্ঞান বা জাতি বা রাষ্ট্র বা আন্দোলনের অংশ হয়ে গিয়েছে সেটা কেবল জনস্মৃতি বা পপুলার মেমরিতে গচ্ছিত জিনিস নয়, বরঞ্চ লেখাপত্র, সংবাদ, ছবি, বিজ্ঞাপন, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে সেগুলো নির্বাচিত হয় এবং হাজির হয়। যার যার মতাদর্শিক নির্মাণ-বিনির্মাণেও এগুলো কার্যত সক্রিয় থাকে। আমাদের আলাপের জনপরিসরেও এটা খুব চালু মত, যদিওবা ‘নির্মাণ’টা কোন তরিকায় হচ্ছে বা হয়ে থাকে সেটা খোলাসা করার দিকে আমার প্রচেষ্টা থাকে খুব অল্প। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হওয়া বহুজনের আলাপে একটা বিশেষ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে: এই নির্মাণকে প্রসেস/প্রক্রিয়া হিসেবে না দেখে বরঞ্চ কন্সপিরেসি/ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফলে নির্মাণ বিষয়ক আলাপ কখনো কখনো ষড়যন্ত্র-তত্ত্বে পর্যবসিত হচ্ছে। কোনো একটা বিশেষ সময়ে বিশেষ ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত জনগণের অভিজ্ঞতা বুঝতে বা জটিলতার জট খুলতে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’ খুব অকেজো, এবং বাজে পদ্ধতি। বিপদজনকও বটে। প্রতিটা উদযাপন, পরিচয় ইত্যাদি আদতে কোনো না কোনোভাবে নির্মাণ; কোনো ঐতিহাসিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে। নির্মাণকে ষড়যন্ত্র হিসেবে না দেখে দেখতে হয় সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায়। যেমন, প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদ-বিরোধী রবীঠাকুর কীভাবে আমাদের জাতীয়তাবাদের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠলেন, (বা কেন রবীঠাকুরের জন্মজয়ন্তি এতো ডাকডোল পিটিয়ে আমরা উদযাপন করি) সেটা কী পাকিস্তান জমানায় রবীঠাকুরের ওপর রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞাকে আমলে না নিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে? আবার দেখেন, বেশ কিছুদিন আগে ফয়সাল দেবজীর একটা প্রবন্ধ পড়েছিলাম, শিরোনাম হচ্ছে, ‘দি আইডিয়া অফ ইউনিফায়িং ইসলাম ইজ অ্যা রিসেন্ট ইনভেনশন…’। ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসের বিপরীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বাধীন সেন একটা মন্তব্য করেছিলেন; প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে কিয়দাংশ উদ্ধৃত করছি: “ঐতিহ্যর সহিত্ব বা বিশুদ্ধতার দাবি সকল প্রতিপক্ষই করেন। কিন্তু এই সহিত্ব বা বিশুদ্ধতা বা আদিরূপ কোনোকালেই ছিল না। পরম্পরার ধারণা ক্ষমতা ও পুঁজির নেটওয়ার্কে বদলে যায়। বদলাতেই থাকে। আমরা চাই বা না-চাই। এই বদল আমাদের ইচ্ছাধীন না, সবসময়। বদলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও ওই বদল দিয়েই নিয়ন্ত্রিত। বা বদলের প্রতিক্রিয়াজাত। সকলেই ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রাচীনত্বের দাবি করে, প্রাচীনত্ব খোঁজেন। এই প্রাচীনত্ব বিভিন্ন কুশীলবের ক্ষমতা ও প্রক্রিয়ার মধ্যে নির্মিত মাত্র। …”।

খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের এখানকার যত জাতীয় দিবসাবলি বা উদযাপন আছে, তার অধিকাংশের শুরুর মুহূর্তে এক ধরনের প্রতিষ্ঠান বিরোধীতা বা নিপীড়ন বিরোধিতার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত; অর্থাৎ এগুলো একধরনের প্রতিবাদী বা প্রতিরোধী চেতনা আছে। রবীন্দ্রনাথের কথা তো উপরে উল্লেখ করলাম। এমনকি পয়লা বৈশাখ উদযাপনেরও এমন চেতনা রয়েছে আছে। ‘নির্মাণ’ এর সাথে এই স্পিরিটের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া মোটেও দুষ্কর নয়। যে শোভাযাত্রা নিয়া সম্প্রতি এতো বাদানুবাদ, এতো কথা সেটাও শুরু হয়েছে এরশাদ আমলে, স্বৈরাচার বিরোধী চেতনা থেকে। যদিও এগুলো এখানে সিদ্ধান্তমূলক ভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে, টেক্সট ঘেটে এগুলোকে প্রমাণ করে দেখানোই আসলে উত্তম। কিন্তু যা ঘটেছে তা হচ্ছে গত ত্রিশ বছরের অধিক সময়ের আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই উদযাপনগুলোর যাবতীয় ডিসকোর্স আওয়ামীবলয়েই প্রবেশ করেছে। এখন যখন সেই ডিসকোর্সগুলোকে গিলে ফেলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন হয়েছে, উদযাপনের সেই প্রতিবাদী চেতনাকেও সে গিলে ফেলেছে, আওয়ামীকরণ করেছে। যেমন করে শোভাযাত্রা থেকে বাদবাকি সকল প্রতিবাদী চেতনা উধাও হয়ে কেবল ‘মৌলবাদ-বিরোধী’ চেতনা রয়ে গিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, রমনার বোমা হামলা থেকে শুরু করে বৈশাখী উদযাপনে এমন নানা আঘাত এর প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিয়েছিল। এটাকে অস্বীকার করা মানে ইতিহাসকেই অস্বীকার করা হবে। কিন্তু আমরা নিজেরাই শোভাযাত্রার প্রতিবাদী চেতনাকে রিক্লেইম করতে পারছি না, শোভাযাত্রাতে ফ্যাসিবাদ/স্বৈরাচারবিরোধী চেতনাকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে পারছি না। তুলে ধরার জন্য নিজেদের যে আত্মসমালোচনা, নিজেদের যে গঠন-পুনর্গঠন সেটাও করতে পারছি না। শোভাযাত্রা নিয়ে যাবতীয় অস্বস্তি যে ইসলামপন্থীদের  ডিসকোর্সের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে তার অন্যতম কারণ বোধহয় এটাই। অবশ্য জনপরিসরে ধর্মবোধের [রিলিজিওসিটি] প্রবল আবির্ভাবসহ আরো নানা অনুঘটক আছে, এসব মোটেও অস্বীকার করা হচ্ছে না।

আমাদের এখানকার ইসলামপন্থী প্রধান ডিসকোর্সগুলো নানাবিধ বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবে আচ্ছন্ন। শফী হুজুরের এমন বহু মন্তব্য আছে যেগুলোকে যে কোনো নিরিখে বর্ণবাদী বলে সাব্যস্থ করা যায়। এবার ‘মঙ্গল’ নিয়ে শুরু হয়েছে। ভাষার সাথে ধর্ম, রাজনীতি, সম্প্রদায়ের কোনো সম্পর্ক নাই এমন ধরনের বক্তব্য ‘ভাষার স্বভাব ও কার্যপ্রণালির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়’। কিন্তু যেই প্রবণতাটা দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে ভাষার মধ্যে যদি কোনো শব্দকে ‘হিন্দুয়ানি’ বলে সাব্যস্থ করা যায় তাহলে তাকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। এখন ভাষা থেকে আরবি/ফারসি/ইসলাম-সম্পর্কিত শব্দকে ঝেটিয়ে বিদায় করার খায়েশ যেমন সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন, তেমনি হিন্দুয়ানি বলে ঝেটিয়ে বিদায় করার খায়েশটাও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন। অথচ এই আলাপগুলা কত যে অনৈতিহাসিক তার প্রমাণ লেখক ও এক্টিভিস্ট পারভেজ আলমের একটা স্ট্যাটাস থেকে ধরা পড়ে। তিনি দেখাচ্ছেন, বুখারি শরিফের অনুবাদেও দেদারছে এই ‘মঙ্গল’ শব্দের ব্যবহার আছে। ‘আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন’ এমন বাক্য তো অহরহ আমরা ব্যবহার করেছি।

টিপ, বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের গ্রেফতার, হিজাব-নেকাব কাণ্ড ইত্যাদি নিয়ে কত কয়েকদিনে আলাপের পরিসরে যে বিরাট বিভাজন আবারো পরিষ্কারভাবে ধরা পড়লো তাতে মোহাম্মদ আজমের প্রস্তাবনার আরেকপ্রস্ত প্রমাণ পাইলাম। ‘দ্বিধা-বিভক্ত সাংস্কৃতিক রাজনীতিকে পুঁজি করেই ২০১৪ এবং ২০১৯ এর [আওয়ামীলীগ] সরকার বাস্তবায়িত হয়েছে’। বা এখনো টিকে আছে। [মোহাম্মদ আজম, সাংস্কৃতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশ, সংহতি, ২০২২]

About The Author

1 thought on “পহেলা বৈশাখ উদযাপন: সংস্কৃতির ‘সমন্বয়’, ঐতিহ্যের ‘নির্মাণ’ ও সাম্প্রতিক বাদানুবাদ”

  1. নাজিব

    লেখাটা ভালোই আগাইতাছিলো, কিন্তু ‘আওয়ামী করণ’ না করলে কি চলছিলো না? এমনেই ভাই ইসলাম ও আওয়ামী দাপটে আমাগোর দম যায় যায়, আপনারাও যদি আপনাদের মগজের আওয়ামী এভাবে ঝাড়তে থাকেন তাহলে ক‌ই যাই?
    ফরহাদ মজহার ও নুরুল কবিররে জিগাইছিলাম- ভাই আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আপনারা স্বপ্ন‌ও দেখেন না?
    লেখাটা পড়ে আপনাকেও করছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শুদ্ধস্বর
error: Content is protected !!