প্রশ্নোত্তর:
শুদ্ধস্বর: কবিতা লিখতে হবে বা কবিতা লেখার জন্য তাড়না বা বোধের ব্যাপারটা প্রথম কীভাবে অনুভব (মানসিক অবস্থা, পরিবেশ-প্রতিবেশের সাথে সংশ্লেষ) করতে শুরু করলেন?
আফসানা কিশোয়ার: অনেকের অনেক রকম খামতি থাকে। অল্প বয়সে আমার সুন্দর করে কথা বলার গুণ ছিল না,বেশি বলতেও ইচ্ছে করতো না। সে জায়গা থেকে মূলতঃ লেখা শুরু,কারণ বলার চেয়ে লেখা সহজ মনে হয়েছে।
কবিতা অনেকটা আয়াতের মতো নাজেল হয়,পরে হয়তো একটু ফাইন টিউনিং করা যায়। হয় না এমন দরোজার নীচ দিয়ে হালকা সূক্ষ্ম একধরনের আলো আসছে,সেখানে পরমাণুর মতো ধূলিকণা এ জিনিস দেখেও মাথার ভেতর এক ধরনের চালচিত্র তৈরী হয় – তা প্রকাশের জন্য কবিতাই আশ্রয়,কবিতার শরণ তাই প্রতি মুহূর্তে নিতে হয়েছে,হচ্ছে এবং হবে।
শুদ্ধস্বর: আপনার কবিতার সমসাময়িকতা, রাজনৈতিক বোধ, নিজস্ব ভাষাশৈলীর বিষয়গুলো যতটুকু সম্ভব বিস্তারিত ভাবে শুনতে আগ্রহী।
আফসানা কিশোয়ার: সাম্প্রতিক বইটি ছাড়া অধিকাংশ কবিতাই সমসাময়িক বাস্তবতা নিয়ে লেখা। গাইবান্ধার তৃষা বখাটেদের দৌড়ানি খেয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয়,এ নিয়ে ২০০৫ এ কবিতা যেমন লিখেছি,তেমনি ২০২১ এ সারা দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক যে হামলা দূর্গাপূজার সময় হয়েছে সেও আমি বর্ণনা করেছি। শাহবাগ আন্দোলনের সময় এর স্বপক্ষে কলমই ছিল অস্ত্র কণ্ঠের সাথে। ধর্মকে রাজনীতিতে যেমন আত্মীকরণ করা হয়েছে তা নিয়ে আমার এগারোতম কাব্যগ্রন্থ “আমি যাই নির্বাসনে” তে আছে ‘জননীর সর্পখেলা’ নামে কবিতা। মানুষের কোন সম্পর্ক রাজনীতির বাইরে নয়,সে কারণে সমাজ সচেতন কবির কবিতা অরাজনৈতিক হবার কোন সুযোগ নেই।
শুদ্ধস্বর: কবিতার শ্লীল অশ্লীল ব্যাপারগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা ও অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
আফসানা কিশোয়ার: শ্লীল – অশ্লীল ভীষণ আপেক্ষিক একটি বিষয়। নিজের কানে যা শুনতে ভালো লাগছে না,যা পড়ে বিদ্রোহ প্রেম স্বস্তি বা আনন্দ বেদনা কোনটাই অনুভূত না হয়ে গায়ে শুঁয়োপোকা হাঁটার অনুভূতি হচ্ছে,বিষ্ঠায় পা পড়ার অভিজ্ঞতায় স্নায়ু শিউরে উঠছে তাই অশ্লীল। এর বাইরে সবকিছুই শ্লীল।
শুদ্ধস্বর: বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের বাংলা কবিতা নিয়ে আাপনার নিজস্ব মূল্যায়ন/বিশ্লেষণ জানতে চাই। এটা যে-কোনো সময় ধরে হতে পারে,আপনার যেমন ইচ্ছে।
আফসানা কিশোয়ার: আমাদের যে কাল কবিতা চর্চার তাকে ‘শূন্য দশক’ বলে অভিহিত করা হয়। কবিতার যে বঙ্গ ভাগ হয় অনেকটা বয়স পর্যন্ত আমি জানতাম না,বিশ্বাস করবেন কি না জানি না। আম্মুর বদৌলতে তো আমি গীতবিতান পড়েছি,পড়েছি নজরুল,এদিকে পূর্ণেন্দু পত্রী,ঐদিকে জীবনানন্দ। সুনীল,শক্তি,শঙখ ঘোষ,নবারুণ,নীরেন্দ্রনাথ,সমরেন্দ্র প্রমুখ। বোঁদলেয়ার এর অনুবাদ,লোরকার,সিলভিয়া প্লাথ,টিএস এলিয়ট এর অনুবাদ। এদিকে আবুল হাসান,হেলাল হাফিজ,রুদ্র,তসলিমা প্রমুখ। বেশ অনেক পরে কলেজে পড়ার সময় আমার জ্ঞানে এসেছে যে কবিদের এপার বাংলা ওপার বাংলা আছে। পশ্চিমবঙ্গের লেখার ভাষা অনেক কুড়মুড়ে কেন যেন এগোনো এমন লাগে। এটা হয়তো ওপারের সাহিত্য পড়ে বড় হওয়ার কারণে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক পক্ষপাতিত্ব তৈরী করে। বাংলাদেশে একদম এই মুহূর্তে যেমন সৈকত আমীনের কবিতা আমার দুর্দান্ত লাগে। মনে হয় বহু বহু বছর পরে ছিপছিপে সাজের অক্ষরেরা তার কলমে বা কী-বোর্ডে আমাদের গেঁথে নিচ্ছে।
শুদ্ধস্বর: খুব সাম্প্রতিক সময়ে আপনার পাঠ অভিজ্ঞতা (যে কোনো বই বা লেখা) নিয়ে কিছু বলুন।
আফসানা কিশোয়ার: না পড়লে আমি লিখতে পারি না। যে কোন জনের বই এখন আর পড়া হয় না। প্রবাসে তো হার্ড কপি বাংলা বই পাওয়া একটু ঝামেলার – পিডিএফ ই ভরসা। আমি প্রায় ৬৫ বছর আগে লেখা কবিতা সিংহের ‘একটি খারাপ মেয়ের গল্প’ পড়লাম এর মধ্যে। চিন্তা করা যায় ৬৫ বছর? ১৩৬৩ বঙ্গাব্দে লেখা,এখন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ সমাসন্ন।
কি যে অদ্ভূত এই পাঠের অভিজ্ঞতা! কিছু লাইন কোট করছি –
“ওদের একজনের হাত আর একজনের হাতে! ওদের একজনের ঊরু আর একজনের পাঁজরে সেঁটে আছে। কিন্তু চোখেমুখে কিরকম একটু পুরু মোমের মতো নৈর্লিপ্তের প্রলেপ। যেন সুন্দর অথচ নিষ্প্রাণ,ভীষণ ভয়ংকর দুটো ম্যানিকুইন।”
এত বছর আগের ভাষার এই যে ঋজু ভঙ্গী আমার কাছে দুর্দান্ত লাগে।
একবার ভাবেন,সেদিনও এমন ফসল বিলাসী হাওয়া বললে কেমন একটা দৃশ্য চোখের উপর দিয়ে চলে যায়। শব্দ দিয়ে নির্মাণ করা যায়,আবার শব্দ দিয়ে ধ্বংস করা যায়। তাই শব্দের সমুদ্রে ডুবে যাই প্রতিদিন সে গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ বাংলায় লেখা হোক বা ইংলিশে লেখা হোক।
কবিতা:
দাবীহীনতায়
কৈশোর থেকে এই মধ্য বয়স অব্দি
শুধু ভালোবেসে গিয়েছি
বিবিধ মানুষ কে,
অর্থ বিত্ত প্রতিপত্তি রূপ কিছু না,
বিনিময় প্রথাতেও আস্থা না থাকায়
একটু স্নেহ মায়ার পরশ আশা করেছি।
যৌন সংসর্গ নয়,স্পর্শের হাহাকার নয়
খুব সংকটে পাশে না দাঁড়াক,
ভেবেছি দু একটা মধুর বাক্যে কেউ বলুক
‘সব ঠিক হয়ে যাবে’।
জীবন ও বেঁচে থাকার এই যে পীড়ন যাপন
কাওকে কোন কথা বলতে না পারার
প্যারালাইসিস,সেসব কেউ বুঝে আমার জন্য
একটা এম্বুলেন্স নিয়ে আসুক হৃৎস্পন্দন
অনিয়মিত হবার কালে।
জন্মাবধি ভালোবাসার যে অপেক্ষা
তা জমতে জমতে শাহনামা হয়ে গেছে,
বোধ ও ব্যাধির সমান্তরালে মানুষের যে আলেয়া
তা মিথ্যে ও অকার্যকর জেনে ইদানীং
খুব পালাতে ইচ্ছে করে অক্সিজেনের দাবী ছেড়ে দিয়ে।
হৃৎস্পন্দনের প্রাচীন গ্রাফিক্সে
বিশ্বাস করো আজকে কিছু না করার সুর বাজছে প্রতি স্নায়ুতে,
আধশোয়া হয়ে জানালায় জমে যাওয়া স্নো’দের
বাতাসের সাথের কারচুপি দেখতে দেখতে
দু’হাতে তোমার এলোচুল সরানোর সাধ জাগছে তীব্র।
ন্যাড়া গাছে বসা চড়ুইদের ফোলানো রোঁয়ায়
তুষারের ধোঁয়ার অবরোধে উদাস চোখ রেখে,
তোমাকে এক ছোঁ’তে আবার কম্বলের নীচে
লুকিয়ে রাখার দিন আজ;
হয় না পারু কোন কোন দিন,ঘেঁটে যায় সব রুটিন –
যেখানে দৃষ্টি রাখছি সেখানে তোমার
আঁচল,সুগন্ধি,পায়ের আদল,ঠোঁট চঞ্চল,হাসির ঠমক
প্রদর্শনী আকারে এসে আমার গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়াচ্ছে –
এসব দিন পারু দীর্ঘশ্বাসে মাখা কষ্ট কষ্ট সুখের ঘণ্টা ছড়ানো,
বালিঘড়িতে বিরহের কাঁটা অবুঝ শব্দহীন শোকে গুমরানো –
তোমাকে জরুরী বার্তা দেয়া হলো না
হৃৎস্পন্দনের প্রাচীন গ্রাফিক্সে।
আমি শূন্যতার ভেতর জেগে থাকা ঢেউ
তোমাকে ভালোবাসার কথা বুঝাতে
আমাকে কি হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে
পৌঁছাতে হবে একদম সশরীরে!
এই যে নীরব ভাষা ততোধিক নিস্তরঙ্গ দেহের,
তাই কি বলে না তোমাকে ছাড়া আমার
চারপাশে শুধু শূন্যতার সীমাহীন ঘের!
তুমি শূন্যতা বুঝো,বুঝো প্রতি স্পন্দন
খুঁজে পাওনা সাময়িক বিদায়ের
সময় তোমার প্রতি ইঞ্চিতে মাখা
আমার অনাবাদী সুগন্ধী চন্দন!
বিভোর বসে স্মৃতির দাওয়ায়
আমার কল্পনারা তোমার কাছে প্রতি
শীত গ্রীষ্ম হেমন্ত শীতে তুমুল বর্ষাতে
রঙীন বসন্তে শূন্যতার ভেতর লুকানো
প্রতি ঢেউয়ে ঠিক ঠিক পৌঁছায়,
তুমি ঢেউ গোণা শেখো পারু,এ বেলায়।
আন্তঃসামুদ্রিক
মন খারাপের দাঁড়ি কমা
আর সেমিকোলন
ভাবছি বসে মুঠোফোনটা
বাজবে আবার কখন
তোমার কথা দাঁড়কাকের
ডানায় ভাসে,তোমার শব্দ
হালকা ঝড়ে কাছে আসে
কি না আসে
এই যে অপেক্ষার দহন
ভাবছি বসে মুঠোফোনটা
বাজবে বুঝি এখন
আমার কাঁচ চোখ
আমার বিষাদের মুখ
সরছে দেখো এক ঝটকায়
যেন মেঘ ফুঁড়ে সূর্যের উঁকি
অদ্ভূত তাপের কারণ
মুঠোফোনটা তোমার নাম নিয়ে
বাজছে আজ যখন তখন
মুছছি আমি ইরেজারে
মন খারাপের অনেক কারণ
ইথারে ইথারে তোমাকে
বরণের করছি আয়োজন
দুঃখ পোষার দিনগুলোতে
কত কি পোষে লোকে!
কেউ কুকুর,কেউ বিড়াল কেউ বা পাখি!
আমি মানুষ পুষে গেছি ভালোলাগা ও
ভালোবাসার মেশামেশি ছায়ায়।
মানুষেরা একশ ভাগ সুখ নিয়ে,
দুইশ ভাগ ব্যথা দিয়ে,অনুরাগের ভান করে
চলে গেছে নতুন কোন ব্যক্তির খোঁজে।
আমি বুকে এখন শুধু দুঃখ পুষি রে,
সেখানে কতক স্মৃতি কতক নোনা জল,
কেমন চোরাবালির আশ্লেষে আমায় আঁকড়ে ধরে!
ভীষণ সাধ জাগে জানিস মানুষ না পুষে
নিজেকে পুষতে,
নিজের হাত মাথার নীচে দিয়ে
নক্ষত্রের সাথে উল্কার আকাশের মাতলামি
দেখে না ফেরার দেশে সব মানুষরূপী
বাজের নখর থেকে মুক্তি পেতে!
আমার পোষা দুঃখ,আমার শূন্য সুখের কোষাধ্যক্ষ,
একবার যদি স্বস্তির জিয়ন কাঠিটা হাতে দিতো!
বিশ্বাস কর পৃথিবী – আমি বর্তে যেতাম,
তোর কপালে ওই নিষ্কাম ঠোঁটের আলতো ছোঁয়া দিয়ে
নিরুদ্দেশের পথে একেবারে বিন্দাস হাঁটতাম নিয়ে এই
অগোছালো জিপসি আয়ু দুলকি চালে।
খুব শখ তোমার নামে একটা পাহাড় কিনি
খুব শখ একটা পাহাড় কিনি,নাম রাখি তোমার নামে,’পারু’।
দোচোয়ানির ঝর্ণায় অবগাহন করে চাঁদের সাথে ভুল তালে নেচে তোমার গায়ে গড়িয়ে পড়ে যেতেই,পাহাড়ের পায়ে প্রিয় সমুদ্রের চুম্বনে দিগ্বিদিক যখন ছুটব, তুমি বলবে পাহাড়ের একা থাকা, বিচ্ছিন্ন থাকা তোমার খুব পছন্দ।
আমি সমুদ্র দেখব,কিন্তু প্রবেশ করব পাহাড়ে। তুমি আমার পরিবর্তনে মুচকি হেসে গ্রীবা বাঁকিয়ে বলবে – সমুদ্র যতই সমাজতান্ত্রিক হোক,পাহাড়ের শাসনে সে গতিপথ পরিবর্তন করবেই। আমাদের তর্কেরা পরস্পরের আঙুল জড়াতে জড়াতে কখন যে একে অন্যের কাঁধে বুকে ভর দিয়ে একসাথে বয়স্ক হবার চিত্রে রঙ মেখে যাবে!
আমাদের বলিরেখায় লবণ জমবে,অভিজ্ঞতায় পাহাড় হবে উচ্চতার মনুমেন্ট – একসাথে থাকার জন্য পছন্দ ত্যাগ নয়,পাশাপাশি রাখার যে আনন্দ তা দিয়ে আমরা এক সূর্যমুখী ফুল ফোটাবো নিশ্চিত।
জলে মৃত্তিকায় যে গোপন অভিসার হবে তা বনভূমির ঝরাপাতার কার্পেটে গড়াগড়ি দিয়ে গায়ে মেখে নেব৷
আমি সেদিন উইল করে দেব আমার মৃত্যুকে তোমার হাতে – তোমার কোলে মাথা রেখে দুষ্টু হাসির রেশটুকু ঠোঁটে ধরে সব অপ্রাপ্তির অস্পর্শের অভিযোগ তুলে নিয়ে, পাহাড় ও সমুদ্রের প্রকৃত মালিকানা তোমাকেই দিয়ে যাব। অন্তত একবার তার আগে আমার পাহাড়ে প্রবেশ ঘটুক।
জিরাফের গ্রীবায় মেঘ ছুঁয়ে দাও
চশমা ও কাজল ছাড়া চোখে হরিণের সারল্য
প্রথম প্রথম থাকে
তারপর দিনেরা দীর্ঘ হয়,রাতেরা অপেক্ষার
দৃষ্টিতে দৃষ্টি মেলে না,নদী হারায় পারাবার।
স্তুতি অচেনা জন করলে কুড়মুড়ে,
চেনা শব্দে বিহবল হয় না ধ্বনি,
ফাঁকা ফাঁকা লাগে না,
মন চায় না
চেনা কারও জন্যে একই উত্তেজনায়
ভিজুক ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
তুমি নাই আমার নসিবে,
এ বাক্য ঝুলে আছে আমার স্তম্ভ দম্ভ
ঊরু জঙ্ঘা আলজিভে;
আমাকে একদিন এক আকাশে পাখি করে উড়াও
আমাকে একদিন এক তোমার স্পর্শে সাজাও
আমাকে একদিন তপ্ত রোদে ছায়া দাও।
জলের ভেতর স্রোত ঢুকে যাক,এমন তীব্রতায়
জিরাফের গ্রীবায় মেঘ ছুঁয়ে দাও;
আমাকে অচ্ছুৎ করো না এবেলায়।
More Posts From this Author:
- None Found
সত্যিই, “কবিতা নাজিল হয় আয়াতের মতো”, তবে সবার কাছে নয়, যাঁরা নিয়মিত পাঠ করেন, চর্চায় থাকেন তাঁদের মধ্যেই।
এপার-ওপার ভাষার ভাগটা শূন্য দশকের পরে কৃত্ৰিম, সচেতন ভাবে সৃষ্ঠ, তাই আমাদের প্রজন্মের কাছে অতি অচেনা এই বিভাজন।
কবিতা গুলো চমতকার। লেখকে ধন্যবাদ, অল্প কথায় অনেক বিস্তৃত আলোচনার জন্য। ধন্যবাদ শুদ্ধ:স্বর।
লোচন, পুরো লেখাটা পরে ফেললাম! কবিতার আয়াতের মত নাজেল হওয়া এবং রাজনীতির সাথে অবেচ্ছেদ্য সম্পর্ক নিয়ে আলাপ অসাধারণ!