প্রশ্নোত্তর:
শুদ্ধস্বর: কবিতা লিখতে হবে বা কবিতা লেখার জন্য তাড়না বোধের ব্যাপারটা প্রথম কিভাবে অনুভব (মানসিক অবস্থা, পরিবেশ-প্রতিবেশের সাথে সংশ্লেষ) করতে শুরু করলেন?
মেঘ অদিতি: আমি বরং বলতে চাই লেখার তাড়নাবোধ কথাটা থেকে। শুরুতে বোঝাও যায় না সাহিত্যের কোন ধারায় কে এগোবে। কাজেই লেখালিখির ইচ্ছের কথা বলাই বরং ভালো। আর আমার ভেতর সেই বোধটা এসেছিল শৈশবেই। বাড়িভর্তি বই, এবং পাঠ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে সেই বয়সেই লেখার কেমন একটা স্পৃহা তৈরি হয়েছিল। মনে হত আমিও লিখতে পারব কিন্তু সেই সুপ্ত ইচ্ছাটি সত্যিকারের ডালপালা মেলে আরও অনেক অনেকদিন পরে। কেন না শিল্পের অন্যান্য শাখায় তখন যাতায়াত। গান, আবৃত্তি, ছবি আঁকা এসবই চলছিল এবং পারিবারিকভাবে এসবের ওপরই জোর দেওয়া হত।
কলেজ ছাড়বার আগে আগে একবার লেখার ভূত মাথাচাড়া দেয়। কিন্তু এ কাজে যে অধ্যাবসায় প্রয়োজন সেটা ঠিক ছিল না। ফলে আবার তাকে সরিয়ে অন্যান্য কাজে মন দেওয়া হলো। তাড়না থাকলেও তাই তার শুরু কিন্তু আরও অনেক পরে। ২০০৫/৬ এর দিকে আমি গদ্য লিখতে শুরু করি। সাথে দু চারটে কবিতা। ২০০৭, লেখা প্রকাশ পেতেও থাকে। কবিতাই লিখতে হবে এমন কিছু মনে হওয়া কিন্তু তখনও ছিল না। পার্সোনাল ব্লগ তৈরি হয়। তার পরপরই পাবলিক ব্লগে নিয়মিত লেখালিখি শুরু করি। ছোট ছোট গদ্য, গল্প লিখতে লিখতে সেরকম একটা ব্লগে আমার একগুচ্ছ কবিতাও প্রকাশ পায়, নাম ছিল ‘অন্তরনগরের কবিতাগুচ্ছ’। মূলত আমার টার্নিং পয়েন্ট এটাই। কবিতায় আমি যেন নিজেকে প্রকাশ করার একটা পথ খুঁজে পেলাম। মনে হতে শুরু করল, অনেক কথা নয়, আট-দশ লাইনেই আমি যা বলতে চাই বলতে পারছি। অর্থাৎ আমার অনুভূতির প্রকাশের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম এই মাধ্যমটি- এরকমটি মনে হতে থাকল। একান্ত ব্যক্তিগত কথামালা বেরিয়ে আসতে শুরু করল টেক্সটের মাধ্যমে। একে ঠিক কবিতা বলা যাবে কি না তা পাঠক জানবেন। আমি কেবল আমার কথাগুলো লিখতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে চারপাশের নানা বিষয় লেখায় ঠাঁই পেতে শুরু করল।
শুদ্ধস্বর: আপনার কবিতার সমসাময়িকতা, রাজনৈতিক বোধ, নিজস্ব ভাষা শৈলির বিষয়গুলো যতটুকু সম্ভব বিস্তারিত ভাবে শুনতে আগ্রহী।
মেঘ অদিতি: রাজনীতি মনস্ক একেবারেই নই। আবার রাজনীতি ব্যতীত জীবন তা হল সোনার পাথরবাটি। সরাসরি রাজনৈতিক কবিতা তাই লেখা হয়ে ওঠেনি বা বলা যায়, বিষয়টিকে এড়াতে চেয়েছি, হয়ত তা সম্ভব নয়। কবিতায় ইতিহাস, মিথ, অল্পস্বল্প বিজ্ঞান, এসব নিয়ে কাজ করতে বরং ভালো লাগে সে নিয়েই ভেবেছি অধিক।
সমসাময়িকতা, হ্যাঁ নানাভাবেই তা কবিতায় এসেছে। যা আমাকে প্রভাবিত করে তা আমার লেখার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে পড়বেই। অন্তর্জীবনে বয়ে যাওয়া অনুভূতির প্রকাশে তাই সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহের কথা এসে পড়ে। সেভাবেই শাহবাগ আন্দোলনের প্রাক্কালে লিখে ফেলেছিলাম দুটো কবিতা। ধর্ষণ যখন বিরামহীন ঘটে চলেছিল, অজান্তেই আমার তীব্র অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছিল কবিতায়। দুই বন্ধুর আত্মজ-আত্মজার মৃত্যু এবং আত্মহননের সংবাদে যে তীব্র শোক বেরিয়ে এসেছিলো কবিতায়। কোভিডের শুরুতে যে রুদ্ধ দিনগুলো কাটিয়েছি তখনও কবিতা এসেছে সেই সমসাময়িক অবস্থার প্রেক্ষিতে। মানুষ মূলগত ভাবে তার সময়ের দাসানুদাস।
২০১৯ এর মে মাসে লিবিয়া থেকে ইতালিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ভুমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছিলেন সাতাশ বাংলাদেশি। ঘটনাটা আমাকে এত আক্রান্ত করেছিল যে লেখা এসেছিল আপনিই কফিন নামে। কবিতাটা এখানে রাখছি।
কফিন
ভাই গেছে দূরে সকাল খুঁজতে
বোনের বিনুনি ভরা ফুল
‘ এত জল ও কাজল চোখের পাষাণী..’
গানে গুনগুন
মা বুনছে দড়ি
বাবা বুনছে স্বপ্নগাছ
পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত ছেনে
সকাল আনবে ছেলে
অথচ সাতাশটি উজ্জ্বল তারার বিবর্তনে
বাবার অসাড় মনে কূ গাইছে
দড়িগুলো মা’কে ডাকে. আয়..
বোনের বিনুনি খুলে
বেড়িয়ে আসছে উড়ন্ত কফিন
এভাবেই সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ যখন ভেতরবাড়িকে আলোড়িত করে তখন কলমে তার প্রকাশ ঘটে চলে বৈ’কি।
যদি ভাষা শৈলির কথা যদি জিজ্ঞেস করা হয় তবে বলব, লেখকমাত্রই তো সেই শৈলির সন্ধানেই রত। নিজস্ব এক নান্দনিক ভাষা তৈরি করা। সেটা কতটুকু পেরেছি তা পাঠক বলতে পারবেন।
যেহেতু আমি কবিতা,গদ্য,গল্প সবই লিখি এবং সেজন্যই ক্ষেত্রবিশেষে ভাষার ব্যবহার ভিন্ন হয়ে থাকে। গল্পে আমি যতটা অলংকারবিহীন গদ্য লিখব, কবিতায় কিন্তু তা লিখি না কারণ গদ্যের চলন কবিতার মত নয় আর কবিতা, তাতে অলংকার বা ছন্দ-এ দুটো বিষয় চলেই আসে। যদিও সবসময়ই যে ছন্দে কবিতা লিখেছি,একেবারেই তেমনটা নয়। কিন্তু কবিতার কোথাও একটা নিজস্ব সুর তো আছে, তাতে গদ্য কবিতা লিখলেও সে কবিতার নিজস্ব একটা ছন্দবোধেই চলে। এছাড়া কবিতায় বিদেশী শব্দের আনাগোনার বাইরে কম ব্যবহৃত শব্দ, কখনও লোকজ শব্দের ব্যবহারও করি,করতে ভালো লাগে।
শুদ্ধস্বর: কবিতার শ্লীল অশ্লীল ব্যাপারগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা ও অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
মেঘ অদিতি: বহু আলোচিত, সম্ভবত প্রাচীন কাল থেকেই আঙুল উঁচিয়ে থাকা একটি বিষয় এটা। কিন্তু কবিতার শ্লীল-অশ্লীলের নির্ধারক আসলে কে বা কারা? আর শব্দের কি শ্লীল-অশ্লীল হয়? আসল হল প্রেক্ষিত। সাহিত্য কি সমাজ জীবনের বাইরের কোনো বস্তু? কবিতা, সে কি মানুষের কথা বলে না? যদি তাই বলে তাহলে একথাও ভাবতে হবে, কবিতা যুগ যুগ ধরে কেবল চাঁদ,ফুল তারার কথাই বলে যাবে এমন ভাবনা ভুল। কখনও সে রুখে দাঁড়াবে প্রতিবাদে, কখনও সে সমসময়িক ঘটনাবলিতে জারিত হয়ে তীব্র শ্লেষে বিস্ফোরিত হবে। কবি কোনোকিছুকে ব্যক্ত করার প্রয়োজনে কোন শব্দটি প্রয়োগ করবেন তা তাঁর নিতান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি এভাবেই ভাবি।
কবিতা বা গল্পের বাইরে মাঝেমধ্যে আমি ছবিও আঁকি। বেশ কবছর আগে, স্ক্রিবল অনলাইনে আমি কিছু ছবি এঁকেছিলাম। যে ছবিগুলোর একেকরকম অর্থ হয়ত হয় কিন্তু সবথেকে ইন্টারেস্টিং ছিল আমার পরিবারের এক আত্মীয়ের প্রশ্ন। তিনি বলেছিলেন, এত অশ্লীল ছবি আঁকার পিছনে আমার মানসিক অবস্থারই প্রকাশ ঘটেছে। অদ্ভুত মনে হয়েছিল এই মন্তব্য! কবিতা বা গল্পে আমি এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি!
শুদ্ধস্বর: বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের বাংলা কবিতা নিয়ে আাপনার নিজস্ব মূল্যায়ন/ বিশ্লেষণ জানতে চাই। এটা যে কোনো সময় ধরে হতে পারে, আপনার যেমন ইচ্ছে।
মেঘ অদিতি: বাংলা কবিতা নিয়ে মূল্যায়ন করার মত স্পর্ধা আমার নেই। যতটা অনুভব করি তাতে একথা বলতেই পারি, মানুষের যাপন, চিন্তা, পারিপার্শ্বিকতা, নানা ঘটনাপ্রবাহই মানুষকে লেখায় এবং এই দিক থেকে ভাবলে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার কবিতা অবশ্যই একে অন্যের থেকে স্বতন্ত্র আবার পরিপূরকও। ঐতিহাসিক দিক থেকে ভাবলে বিষয়টি আরও পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে একটি নির্দিষ্ট সময় ও ঘটনার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে যে চেতনার বিকাশ ঘটে তার ভাষা এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে সবসময়ই ভিন্নতর হয়,সেটা পুব বা পশ্চিম! বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের কবিতার প্রথম ও দ্বিতীয় দশকের কবিতাকে নিয়ে যদি বলি, দু জায়গাতেই ছন্দ নির্ভরতা এবং ছন্দ বিমুখতা দুইই দেখেছি। আবার দ্বিতীয় দশকেই ছন্দ নির্ভর কবিতা বাংলাদেশে বেশি পড়েছি। আরেকটি বিষয়ও আমার কাছে লক্ষ্য করার মত মনে হয়েছে। তা হলো, পশ্চিম বাংলার কবিতার ঝোঁক যেখানে বিষয়হীনতার দিকে, বাংলাদেশের কবিতা ঠিক তেমনটা নয়। অনেকটা স্বতন্ত্র। তবে কোথাও গিয়ে এই দুইয়ে যে তেমন ফারাক তাও মনে হয়নি।
শুদ্ধস্বর: খুব সাম্প্রতিক সময়ে আপনার পাঠ অভিজ্ঞতা (যে কোনো বই বা লেখা) নিয়ে কিছু বলুন।
মেঘ অদিতি: সাম্প্রতিকে পড়া হলো কবি মাসুদার রহমানের কবিতার বই হরপ্পা। বইটি বেরিয়েছে, পশ্চিম বাংলার তবুও প্রয়াস থেকে ২০১৭ সালে। তিন ফর্মার পেপারব্যাক। ওনার কবিতাপাঠ পর্বে আমি কেবল আমার ভালো লাগাটুকু জানাতে পারি। কাটাছেঁড়া করার মত যোগ্য মানুষ তো আমি নই তবে এটুকু বুঝি, মাসুদার ভাইয়ের কবিতা সবসময়ই আলাদা এক সুরে যেন বাজে। উচ্চকিত নন, কবিতাগুলো বড়ও নয়। ছ কি দশ লাইনেই তিনি তার কথাগুলো বলেন। বাংলাদেশে অন্যরকম লেখার প্রয়াস যাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়, মাসুদার ভাই তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন। হরপ্পা বইটিও তার সেই সাক্ষ্যই বহন করছে। এই বইটির বাইরে যে দুটো কবিতার বই পড়ছি তার একটি কবি হাসান রোবায়েতের ‘রুম্মানা জান্নাত’ এবং শিল্পি ও কবি লুবনা চর্যার ‘চিন্তাশীল মেশিন’। এখন অবধি বই দুটির পাঠ অভিজ্ঞতা মন্দ না। পুরোপুরি শেষ হলে বরং এ নিয়ে কথা বলা যাবে। আপাতত বলি,কবিতা বলুন বা সাহিত্য অঞ্চল ভেদে তার কিছু বহিরঙ্গের পার্থক্য অবশ্যই বিরাজমান। কিন্তু অন্তরে এক সুর। কবিতা আমার কাছে এক সংগীত। অক্ষর,ছন্দ কন্টেইনট,স্ট্রাকচার সবের পরেও এক দূর থেকে ভেসে আসা মনাস্টারির শব্দ,যা ভাবায়,যা ভালো রাখে,যার সুরে আমি আজন্ম বুঁদ হতে ভালোবাসি বলেই,আজও কবিতাতেই বাঁচি।
কবিতা:
সহজপাঠ
তাকেই আগলে রাখা—
অভিমানী বুনোঝোপ দ্যাখে
ঘুমের ভেতর শিউরে ওঠা
গন্ধরাজের তীব্র ছায়া
আর
শৈশবের হাত ঘুরে শেষে
সেও খুব দূরে সরে গেছে
কথা
কথা বাকি থাকে তবু—
যতটা পাঁচিল তার ততটাই গানের আভাস
চুপিচুপি ক্ষতদাগে নখের আঁচড়ে
ছাপা হয় রাংতামোড়া দিন
এপারে ঝোড়ো হাওয়া, কলহ-সংকেত
ওপারে নিঝুম এক ঝাউগাছ ঠায়
রক্ত দিয়ে লিখে যাবে অনাদি সঙ্গীত
কথা বুঝি বাকি আছে কিছু?
অ-পর
পিপাসার্ত এই আতপ দুপুর
আর লীনতর যৌথ অভিপ্রায়
জানলা বাছতে গিয়ে ঘেমে-নেয়ে উঠি
মেঘেদের সুরে ভাসে, বিমর্ষ সঙ্গীত
অতটা অস্পষ্টতা—
চলে তবু গেল আয়ু, গোটা এক আমিষ-জনম
রাস্তা জুড়ে ইতস্তত
ছড়ানো তার মানচিত্র, বিদীর্ণ ফসল
ট্যাজেডি
হাওয়ায় ফুটেছে দ্বিধা দুর্দহনের দিনে
খসে পড়ে মনিবন্ধের সমস্ত ট্র্যাজেডি
মন্থর দুপুর, ট্রিগার চাপার আগে
একবারও ভাবলে না, ঘুমন্ত মুখের ছবি
চিরল পাতার কাঙ্ক্ষিত সেই সবুজ গান?
মুছে যেতে যেতে আমাদের শব্দগুলো
ফের গান হয়ে উঠছে আবার রেডিয়ো এফ এম এ..
আত্মজৈবনিক
তীর কবে তীব্র ছুড়েছ হাওয়ায়
সারা ঘর জুড়ে তার এলোমেলো ছবি ও ছায়া
তবু—
ক্রমদহনের রাতে
সামান্য কথার ভিড়ে নিভে যায় অসামান্য দিন
প্রেম অথবা ঘুম
যেন জন্ম ঘুরে এল প্রেম
চাঁদের শরীরে তার আলগা হচ্ছে এবার জ্যোতি
জল বাড়ে। বাড়ে ঘুম।
অসূয়া ভোরের দিকে
পদ্মফোঁটা আঙুলে বাজে তার আশ্চর্য প্রফুল্লতা
কোথাও কি বৃষ্টি ঝরছে খুব..
পথঘাট ঢেকে গেছে অসমাপ্ত গানে?
সামান্য সঞ্চারে
স্পৃহা কি জিরাফের সেই দীর্ঘ শীর্ণ গলা
যেদিকে তাকালে গৃহস্থের ধানগোলার বদলে
সমস্ত পথ ঝিঁঝির ডাকে ভরে ওঠে!
ভোরের আশেপাশে ঘুম ভাঙলে
শরীরে কম্পন আর
মুছে ফেলা স্মৃতির দিকে ধেয়ে যায়
ওইসব বোমারু বিমান
ভাবো, অতীত তেমন এক প্রবণতা
যেখানে বিছানো থাকে
মাকড়জাল কিম্বা লতানো উদ্ভিদ
অথচ ফি রবিবার তুমি নির্বিকার
বলেই চল, সব ঝুট..সব ঝুট..
গীতবিতানের পাতায় ইদানীং আর
পূজা থাকে না, ছাপ্পা মারা থাকে
বিষণ্ণ রবিবার ..
সময়
মফস্বল থেকে বেঙ্গল বই
আমি কি পায়ে হেঁটে পাড়ি দেব হলুদ পাতা?
নীল ইউনিফর্মের এক অফিসার এ প্রশ্নে
গুহা থেকে হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন, ক্রাউল ল ল..
নীরবতা ভেঙে টুকরো কিছু বিরক্তি উড়ল হাওয়ায়
বুনো মোষ উঁচিয়ে এল শিং
অপরিচিতার গোল চশমায় আটকে গেল কবিতা
পাতাদের ওড়াউড়িও আর থামছে না
কতরকমভাবেই তো স্ক্রু খোলা যায়
অথচ এইমাত্র বৃষ্টিও জানান দিল
মাকড়সা জালে আটকে গেছে নোনাধরা পৃথিবী
পড়লাম। কবিতায় সবসময় ব্যক্তিগত ব্যাপার থাকবে এমন কোন কথা নাই। কিন্তু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কবির কবিতাতেই থাকে বোধের গভীরতা। কবিতাগুলো পড়ে তাই মনে হলো।
কবিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
প্রাঞ্জল লেখা এবং অভিব্যক্তি। কবিতাগুলো বার বার ডেকে ডেকে পড়ায়। ভালো লাগলো।