জাহিদুল ইসলাম

Jahidul Islam, studies at Shahjalal University of Science and Technology - SUST, Sylhet

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের জনপ্রিয় পাঠ ও তার সীমাবদ্ধতা

বাংলা‌দে‌শের উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্পগু‌লো জলবায়ু প‌রিবর্তনের জনপ্রিয় ও ভ্রান্ত পাঠ দ্বারা প‌রিচা‌লিত। এর প্রধান কারণ হ‌চ্ছে বাংলাদে‌শের উন্নয়ন কারখানাগু‌লো জলবায়ু প‌রিবর্তন সম্প‌র্কে যে জ্ঞান উৎপাদন ক‌রে তা অ‌নেকাং‌শে সীমাবদ্ধ। পুঁজির কতৃত্ববাদী উন্নয়নের ধারণার মধ্য থে‌কেই আর্ন্তজাতিক দাতা‌গোষ্ঠী ও রাষ্ট্রযন্ত্র জলবায়ু প‌রিবর্তন‌কে প্রতিহত কর‌তে চায়। এগু‌লো অর্থনৈ‌তিক উন্নয়ন ও প্রগতিশীলতার জ্ঞানভা‌ষ্যের মাধ্যমে জলবায়ু প‌রির্তন‌কে ন্যায্যতা

আলাঁ বাদিয়্যুর রাজনৈতিক দর্শন

আলাঁ বাদিয়্যু এমন একজন সাম্যবাদী দার্শনিক যিনি পাশ্চাত্যের  সমসাময়িক মার্কসবাদীদের চেয়ে স্বতন্ত্র। এই ভিন্নতার ক্ষেত্রে তার প্রধান কারণ হচ্ছে তিনি অন্যান্য মার্কসবাদী চিন্তকদের মতো লেনিন বা স্ট্যালিনের রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে মাও সেতুং দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। পশ্চিমা বিদ্যাজগতে এই ধারার দার্শনিকদের উপস্থিতি খুবই সীমিত। বাদিয়্যুর মতে মাও সেতুং-এর চিন্তার মধ্যে একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য

সংস্কৃতি কারখানা

সংস্কৃতি কারখানা শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় এডোর্নো এবং হরখেইমার কতৃক লিখিত Dialectic of Enlightenment বইতে। এডোর্নোরা তাদের লেখায় গণ সংস্কৃতির পরিবর্তে এই সংস্কৃতি কারখানা শব্দটি ব্যবহার করেন। এটি এমন একধরনের সংস্কৃতি যা ‘পপুলার আর্টের’ মতোই জনসাধারণের  ‘স্বতঃস্ফূর্ততার’ বহিঃপ্রকাশ।১ কিন্তু জনসাধারণের এই আপাত স্বতঃস্ফূর্ততার বিষয়টি প্রকৃত স্বতঃস্ফূর্ত নয়। কেননা সংস্কৃতি কারখানায় জনসাধারণ ‘গৌণ’ ও নিষ্ক্রিয়

রাজনৈতিক অবচেতন

মার্কসবাদ বিকাশের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অবচেতন বিষয়টিকে শ্রেণী সংগ্রামের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে বিচার বিশ্লেষণ হতে থাকে। পরবর্তীতে উত্তর-মার্কসবাদী চিন্তকদের মাধ্যমে রাজনৈতিক জ্ঞানভাষ্যে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিসর তৈরি করে। অবচেতনের জিজেকিয়ান বিশ্লেষণমূলক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে এ প্রবন্ধে রাজনৈতিক অবচেতন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এটি ধ্রুপদী মার্কসবাদের মধ্যে যে অবচেতনের ধারণা রয়েছে তা থেকে স্বতন্ত্র। 

স্লাভো জিজেকের দ্যা সাবলাইম অবজেক্ট অব আইডিওলজির ভূমিকা অংশ

অনুবাদকের ভূমিকা: বৈরিতা বিষয়টিকে স্লাভো জিজেক (Slavoj Žižek) তার বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেন। কেননা বৈরিতাকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমেই সবার্ত্মকবাদী তৎপরতাকে নির্মূল করা সম্ভব। একসময় ফুকো-হাবারমাসের চিন্তাকে ঘিরে সামাজিক বিশ্লেষণমূলক তৎপরতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছিলো। কিন্তু তাদের উভয়ের সাবজেক্টের মধ্যে এ বিষয়টিকে আমলে নেওয়া হয়নি। যার ফলে তাদের সাবজেক্টের ধারণা বৈরিতাকে স্বীকৃতি না দিয়েই এর সাথে

আলাঁ বাদিয়্যু’র জৈব-নৈতিকতা

অনুবাদকের ভূমিকাঃ যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য হত্যার (euthanasia) যে তৎপরতা ও নৈতিক সচেতনতা তা বর্তমানে সুপ্রজননবিদ্যার (eugenics) একটি ক্যাটাগরি হিসেবে রূপলাভ করেছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নৈতিকতার সাথে জৈবিক সংযোগ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকশিত জ্ঞানকে ব্যবহার করে এ জৈব-নৈতিকতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে জৈব-নৈতিকতা প্রত্যেক রাষ্ট্রের মধ্যে  সুপ্রজনন চর্চাকে কমবেশি প্রয়োগ করে। হিটলারের নাৎসি বাহিনী কতৃক ইহুদি,

ওয়াল্টার বেঞ্জামিন ও সময়ের রাজনীতি

সামাজিক অবস্থানকে বিশ্লেষণ, অগ্রগতি ও সঙ্কটসমূহের সাথে বোঝাপড়া ও দিকনির্দেশনার জন্য সামাজিক বিজ্ঞানে সময় বিষয়টির খুবই তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। একে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এমিল ডুর্খেইম সময়কে স্থান, কারণ এবং সংখ্যার মতো মানব চিন্তার একটি মৌলিক ক্যাটাগরি হিসেবে বিবেচনা করতেন। তিনি সময় সম্পর্কিত সচেতনতা সমাজ থেকে উৎসারিত হিসেবে চিহ্নিত করেন।১ সামাজিক ও

জিয়াউদ্দিন সরদারের ইসলামের পুনর্বিবেচনা

অনুবাদকের ভূমিকা: সত্যের উপর জনসাধারণের যে অধিকার রয়েছে তাকে নিয়ন্ত্রিত ও কেন্দ্রিভূত করার প্রবণতা হচ্ছে সব ধরনের সামাজিক সম্পর্কের অন্যতম অন্যায্যতা। জিয়াউদ্দিন সরদার মুসলিম সমাজের মধ্যে এ প্রবণতা খুঁজে পান, যা তিনি তার Rethinking Islam প্রবন্ধে আলোচনা করেছেন। প্রবন্ধটি মূলত ৯/১১ পরবর্তী লেখা হলেও প্রবন্ধটিকে পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত করা হয়েছে। অনুবাদকৃত প্রবন্ধটি Sohail Inayatullah and

ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের ক্রিটিকাল থিওরি ও ফ্রেডরিখ নিৎসে

মানবপ্রজাতি তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে শুরু করে সামাজিক বিভিন্ন স্তরে বিভাজিত।এ বিভাজন প্রবণতার সাথে ক্ষমতা বিভিন্নভাবে তার সম্পর্ক গড়ে তুলে। বৈচিত্র স্তরের মধ্যে ক্ষমতা বিন্যাস বৈচিত্রভাবে উপস্থিত থাকে। ক্ষমতার সক্রিয় অবস্থানের উৎপত্তিসন্ধানের জন্য নিৎসের চিন্তাভাবনাকে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের অন্যতম তাত্ত্বিক এডোর্নো তার বিভিন্ন লেখায় ব্যবহার করেছেন।ধ্রুপদী মার্কসবাদী পদ্ধতি থেকে সরে এসে এটি যেনো ক্ষমতা সম্পর্ককে উন্মোচনের

জিনিওলজির ধারণা; জিল দেল্যুজ

অনুবাদকের ভূমিকা: জিনিওলজি পদ্ধতি ক্রিটিকের বহুমাত্রিক সম্ভাবনাময় দিককে উন্মোচন করে। এই সম্ভাবনময় ক্রিটিকগুলো সামাজিক পরিস্থিতির জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।নিৎসের  জিনিওলজিকে কেন্দ্র করে, বিস্তৃত ঘটিয়ে  অথবা তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন ধারার চিন্তাভাবনার সূত্রপাত ঘটে। এর মধ্যে উত্তর-আধুনিক,উত্তর-ঔপনিবেশিক চিন্তা ও ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের ক্রিটিকাল থিওরি  অন্যতম।ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের ক্রিটিকাল তাত্ত্বিক বিশেষত এডোর্নো’র ওপর নিৎসের ব্যাপক প্রভাব ছিলো। এডোর্নো এবং

নিৎসের রাজনৈতিক দর্শন: উত্তরাধুনিক রাজনৈতিক চিন্তায় দায়

ফ্রেডরিখ নিৎসে এমন এক চিন্তক যিনি প্রচলিত সামাজিক, দার্শনিক বা মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাচর্চায় বিশ্বাসী ছিলেন না।তার বিভিন্ন লেখায় মেটাফোর, মেটানমির বৈচিত্র ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন দার্শনিক তার একই লেখাকে ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিৎসের চিন্তাভাবনার তাৎপর্য হচ্ছে তার নৈতিকতা  ও মানব ক্ষমতা সম্পর্কিত পর্যালোচনা। রাজনৈতিক সীমানায় নৈতিকতা যখন প্রবেশ করে তখন তা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে ওঠে।যার ফলে

শুদ্ধস্বর
error: Content is protected !!