ইশরাত জাহান ঊর্মি

Israt Jahan Urmi is a journalist and activist.

গণমাধ্যমে নারী চরিত্রের কেলেংকারীকরণ

লেখাটা শুরুর আগে চেষ্টা করলাম কতগুলি নারীর  মুখ ভাবতে। যারা যৌন নির্যাতনের শিকার, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গণমাধ্যমে যাদের কথা বারবার এসেছে। তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধের কাভারেজ হয়েছে কিন্তু গণমাধ্যমে তাদের চরিত্র খারাপ দেখানোর চেষ্টা হয়নি-এরকম নারীর মুখ ভাবার চেষ্টা করলাম।  গত তিন/চার বছরের তথ্য থেকে এই স্মৃতি মাথায় নেবার চেষ্টা করলাম। একটি মুখ মনে

বাংলাদেশের নারী অধিকার আন্দোলন

এমনিতে নারীকে গণমাধ্যমে কোন কোন চেহারায় তুলে ধরা হয় তার একটি গবেষনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিতা বিভাগের শিক্ষক ড. গীতি আরা নাসরীন।  গবেষনাটি সম্পন্ন হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।  প্রাথমিকভাবে দেখানো হয়েছে, সাধারণত  নাচ-গান বা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মতো বিষয়গুলো যেগুলিকে পত্রিকার ভাষায় “সফট আইটেম” বলা হয় সেসব জায়গায় নারীর ছবি ছাপা হয়।  দুর্যোগ বা

রিলে রেসের মশাল এখন আমাদের হাতে

ইনক্লুসিভ করে ভাবতে শেখা আয়েশা খানম বলতেন, “নারীবাদ একটা নকশীকাঁথা, সবাইকে এখানে বুনে যেতে হবে কিছু না কিছু। দাগ রাখতে হবে সবাইকে। আমি একা পারবো না, তুমিও একা পারবে না।” সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির হয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক সহযোদ্ধার সাথেই মতদ্বৈততা হয়েছে শুনেছি কিন্তু তাই বলে সিস্টারহুড নষ্ট হয়নি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হয়নি-এই বিষয়টা আমাদের

বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় আটক শিশু পূজার জীবন

চারবছর পর পূজার বয়স এখন নয়। সে স্থানীয় স্কুলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। বাচ্চাটির যৌনাঙ্গ চিরে দেয়ায় তার এই প্রাইভেট পার্টস আর কখনও ঠিক হবে কি না সেটি অনিশ্চিত। সে পেশাব ধরে রাখতে পারে না।  প্যান্টের ভেতর কাপড় গুঁজে তাকে স্কুলে পাঠান তার মা। একটা বড় ধরনের অপারেশন তার লাগবে যেটির খরচ অনেক এবং একটা নির্দিষ্ট

ধর্ষণ আইন সংস্কারে দশ প্রস্তাবনা

ধর্ষণ এর বিচার শেষ করে তারপর প্রমানিত হলে ফাঁসি দেয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, সেইপর্যন্ত যেতে যে পথ পাড়ি দিতে হবে সেই পথটার খানাখন্দ কতটাবিপদসংকুল-তা নিয়ে আলোচনাই দশ প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য। এই সংগঠনগুলি নানানসময়ে গ্রামে এবং শহরে নানা ধরনের নারীকে আইনী এবং অন্যান্য সহযোগিতা দিতে গিয়েই এইসব সমস্যার মুখোমুখি হয়ে সংস্কার প্রস্তাব এনেছে।   ধর্ষণ

ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন ও কিছু প্রস্তাবনা

নব্বুই এবং এর পরের দশকেও আমরা বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার ব্যানারে প্রচুর আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি, “এনজিওবাদী” “পয়সা খেয়ে আন্দোলন করা” ইত্যাদি বলা হলেও অনেক বড় বড় আন্দোলন বা ধাক্কা কিন্তু এসেছিল এইসব আন্দোলন থেকে। সংসদে নারী আসন, নারী নির্যাতনের জামিন অযোগ্য মামলার আইন, নারীনীতি বাস্তবায়নের দাবীর মতো বড় বড় কাজ তখন হয়েছে। এখন কি আমরা আর

শুদ্ধস্বর
error: Content is protected !!