E-books

Share this:

‘মন জোগাতে নয়, মন জাগাতে’ এই ভাবনাকে ভিত্তি করে ২০০৪ সালে শুদ্ধস্বর গ্রন্থ-প্রকাশনা জগতে যাত্রা শুরু করে। ছাপা মাধ্যমে এক যুগ পার করে শুদ্ধস্বর এখন উপলব্ধি করছে সময়ের সত্য- দুনিয়া বিস্তৃত পাঠকের কাছে বই পৌঁছে দেয়ার জন্য ইলেক্ট্রনিক প্রকাশনার বিকল্প নেই…

সময়ের সাথে সাথে কৌশল বদলালেও সর্বদাই শুদ্ধস্বর বিজ্ঞানমনস্কতা, ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাংলাদেশের স্বাধনীতার স্বপক্ষে অবস্থান করে; এই নীতিতে আগাগোড়ই অবিচল শুদ্ধস্বর…

এ পর্যন্ত শুদ্ধস্বরের সকল প্রকাশনাই ধর্মীয় গোঁড়ামি আর মৌলবাদের বিপক্ষে। বিজ্ঞানমনস্ক আর ধর্মনিরপেক্ষ প্রকাশনার দায়ে শুদ্ধস্বর শুরু থেকেই মৌলবাদীদের প্রতিহিংসার লক্ষ্য। বিজ্ঞানমনস্ক লেখার অপরাধে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে মৌলবাদীদের হাতে নিহত হন ড. অভিজিৎ রায়…

বিজ্ঞানমনস্ক মনস্ক লেখার অপরাধে বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন লেখক অনন্ত বিজয় দাস, ওয়াশিকুর বাবু, নীলয় নীল, আহমেদ রাজীব হায়দার। বিজ্ঞানমনস্ক লেখা প্রকাশের অপরাধে মৌলবাদীরা হত্যা করেছে জাগৃতি প্রকাশনীর ফয়সল আরেফিন দীপনকে। আক্রমণে আহত হয়েছেন হুমায়ূন আজাদ, আসিফ মহিউদ্দীন, বন্যা আহমেদ, আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল, রণদীপম বসু ও তারেক রহিম। মৌলবাদীদের হাতে হত্যা-আতঙ্ক নিয়ে অনেক লেখক আজ দেশান্তরে উদ্বাস্তু জীবন যাপন করছেন। শুদ্ধস্বরের ইলেক্ট্রনিক প্রকাশনার উদ্বোধনী দিনে আমরা স্মরণ করছি অভিজিৎ রায়সহ মৌলবাদীদের হাতে নিহত সকল লেখক-প্রকাশককে। একই সাথে আমরা বিচার দাবি করছি হুয়ায়ূন আজাদসহ লেখক-প্রকাশকদের উপর সব ধরনের আক্রমণ ও হত্যা প্রচেষ্টার। পাশাপাশি আমরা দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করছি যে শুদ্ধস্বর আগে যেমন বিজ্ঞানমনস্ক এবং মুক্তচিন্তার লেখা প্রকাশে অগ্রণী ছিল, শুদ্ধস্বর এখনো অব্যাহত রাখবে সেইসব প্রকাশনা। কেননা লেখাই আমাদের অস্তিত্বের প্রকাশ। প্রকাশনই আমাদের অস্তিত্বের উপস্থিতি ও বিস্তার…

[siteorigin_widget class=”SiteOrigin_Panels_Widgets_PostLoop”][/siteorigin_widget]
শুদ্ধস্বর
error: Content is protected !!