নববর্ষের গল্প ১৪৩০

কদম মোবারকের কাছে একদুপুর

কদম মোবারকের কাছে একদুপুর   নারায়ণগঞ্জের নানাভাইয়া নবীগঞ্জ নিয়ে গেলেন পাথরে খোদানো নবীজির চরণ মোবারক কদমবুছি করাইতে। মাসুম কাবুলি নামের এক আফগান যোদ্ধা এটা কিনেছিলেন আরব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এই ভদ্রলোক ঈশা খাঁ’র সাথে মিলে আকবর বাদশাহর ফৌজের সাথে যুদ্ধ করে বাংলার একাংশকে কিছুদিন স্বাধীন রেখেছিলেন। শেষ রক্ষা করতে পারেন নাই যদিও। নবীগঞ্জ ছিল পাটের

রমানাথ

রমানাথ   এক দিল্লিতে রাস্তার ধারে নাপিতগুলো সার ধরে বসে থাকত। লোকে খুব একটা ভিড় জমাত না। দিল্লির লোক চুলকাটা বা শেভ করা খুব পছন্দ করে না। নইলে ওদের ওরকম একা ফাঁকা বসতে হয়? প্রতিদিন সকালবেলায় চিন্ময়, রমানাথকে ১টা পয়সা দিতেন। সেই একপয়সা নিয়ে রমানাথ প্রথম প্রথম ভেবে পেত না কী করবে। চকলেট খেতে হলে

চাঁদনি রাতে প্রাণ আর মৃত্যুর চোরাকারবার

চাঁদনি রাতে প্রাণ আর মৃত্যুর চোরাকারবার   রাত। আজিরুর বের হয়েছে। একটা শুয়োর আর কয়েকটা শুয়োরের বাচ্চা তার পায়ের শব্দ পেয়ে যাচিবুচ্ছিল তা কোঁৎ করে গিলে নিয়ে ঘোঁতঘোঁত করতে করতে কঞ্চির বেড়ার ফাঁক গলে বেরিয়ে গেল।ঘেঁটুর ঝোপে ঢুকে পড়ল জানোয়ারগুলো। শুয়োরেরা ঘেঁটুবনের ভেতর মিলিয়ে গেলেও তাদের ঘূৎকারএখনও ভেসে আসছে। অন্ধকার, শরীর ঢাকতে পারে শব্দ ঢাকতে

বারান্দা

বারান্দা   লীনা চোখ বন্ধ রেখে পাশের বালিশটা হাতড়াবে। কিংবা চোখ খুলতে না খুলতেই তার হাত চলে যাবে সাদা কাভারটায়। তারপর বালিশ ছাড়া অন্য কিছুর স্পর্শ না পেয়ে মাথাটা সামান্য তুলে চমকে তাকাবে সেদিকে; দেখবে বিছানায় আমি নেই। আমি কী করে হুইল চেয়ার পর্যন্ত পৌঁছলাম, সেটা নিয়ে মুহূর্তে উতলা হয়ে উঠবে। আসলে রাতে ঘুমানোর আগেই

জলদাসের মৎস্যঘ্রাণ

জলদাসের মৎস্যঘ্রাণ   বাঁশঝাড়ের শিখরে এক টুকরো কাস্তে অথবা কুমড়ো ফালির মতো উজ্জ্বল ব্যাকুল শুক্লপক্ষের চাঁদ ঝুলে আছে। বাঁশঝাড় নিশির হাওয়ালেগে একটু উতলা, প্রতিটি বেতস পাতা চোখের নরম পাপড়ির মতো নাজুক, আধবোজা প্রকৃতিতে কাঁপে। একঝাঁক টিয়ে আচমকাবাঁশবনের জ্যোছনায় ট্যা ট্যা করে ওঠে। বাদাবনে হয়তো এখন নিশাচর জিব নাচিয়ে থাবা মেলছে। রাত তাই কেমন শরীর কাঁটা

শুদ্ধস্বর
error: Content is protected !!